বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: নেপালে কর্মরত বাংলাদেশী শ্রমিক লুৎফর হারিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সোমবার নেপালের পুলিশ বলেছে, তারা পানির নিচ থেকে মানুষের দেহের কিছু অংশ উদ্ধার করেছেন। আর সেটা লুৎফরের বলেই তাদের আশংকা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তারা ডুবসাতারুদের নিয়োগ করেছিলেন। আর এতেই সুফল মিলল। লুৎফর বহিরাগত কর্মী, লাহিমুগুের শাবিয়ানি এটল থেকে হারিয়ে যাওয়ার পরে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
এবিষয়ক তদন্ত নিয়ে পুলিশ আর বিস্তারিত জানায়নি। তবে লায়মাগু কাউন্সিলের সভাপতি আবদুল গনি ইব্রাহিম বলেন, পুলিশ নিহতের মরদেহের পুরো অংশ খুজে পেতে তাদের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে লুৎফারের হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে দুইজন বাংলাদেশী কর্মীর গ্রেফতারের ঘোষণা দিয়েছে। তবে, স্থানীয় নিউজ আউটলেট মিহারু বলেছে যে, সংশ্লিষ্ট দ্বীপে একটি জাহাজে লুৎফরসহ ৫ বাংলাদেশী কর্মরত ছিল।
লুৎফর নিখোজ হওয়ার পরে পুলিশ ৫ জনকেই গ্রেপ্তার করে।
মিহারু আরও বলেছে, সূত্রগুলি নির্দেশ করে যে, বর্তমানে সন্দেহভাজন সকলকেই শাভানি এটলের ফনাধু থানায় আটক আছে।
লুৎফর এক মাস আগে হারিয়ে যায়। ‘কুড়িমুগু’ নামের (ভবিষ্যতে শিথিলভাবে অনুবাদ করে) একটি জাহাজেই তার বসবাস ছিল। ধারণা করা হয়, বাংলাদেশী সতীর্থদের সঙ্গে কোনো বিষয়ে মনোমালিন্যের জের ধরে তাকে মেরে পানিতে ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে।
বাংলা৭১নিউজ/এলএ.এফএ