বাংলা৭১নিউজ, এ কে এম আব্দুল্লাহ, নেত্রকোনা প্রতিনিধি: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়ার প্রতিবাদে নেতাকর্মীদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় পুলিশ নেত্রকোনায় পুলিশ এ্যাসল্ট, বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩শতাধিক বিএনপির নেতাকর্মীকে আসামী করে পৃথক পৃথক থানায় ৫টি মামলা দায়ের করেছে। এদিকে পুলিশ জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় নেতাকর্মীদের বাসা বাড়ীতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১৪ নেতাকর্মীকে আটক করেছে।
নেত্রকোনা পৌর এলাকার পারলায় গাড়ী ভাংচুর ও আগুন দেয়ার ঘটনায় জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ডাঃ আনোয়ারুল হককে প্রধান আসামী করে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ ৪০ বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাতে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অপরদিকে কেন্দুয়া উপজেলায় পুলিশের সাথে বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় পুলিশের কাজে বাধাঁ ও পুলিশ এ্যাসল্টের অভিযোগে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম হিলালীকে প্রধান আসামী করে ১শ ৪৮ জনের নাম উল্লেখসহ আড়াইশ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাতে মামলা করা হয়েছে।
নেত্রকোনা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আমীর তৈমুর ইলীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, পারলায় গাড়ী ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের দায়ে পুলিশ বাদি হয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মোঃ আনোয়ারুল হকসহ ৪০ জনকে আসামী করে বিস্ফোরক আইনে ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি, বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য ড.মোঃ রফিকুল ইসলাম হিলালীসহ প্রায় আড়াই শত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশ এ্যাসল্ট, বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে পৃথক দুইটি মামলা করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১৪জনকে আটক করেছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস