বাংলা৭১নিউজ,(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি:নেত্রকোনার বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মাঝে নিরবছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং উত্তম গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আরো এক মাস একটু ধৈর্য্য ধরার অনুরোধ জানিয়েছেন বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।

নেত্রকোনা জেলা শহরে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও লোড-শেডিং হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত যে কোন সময় বেশ কয়েকবার বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও লোড-শেডিং হচ্ছে। অব্যাহত বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও লোড-শেডিংয়ের কারণে একদিকে ছাত্র ছাত্রীদের লেখাপড়ায় যেমন ক্ষতি হচ্ছে, অপরদিকে ব্যবসা বাণিজ্যে দেখা দিয়েছে স্ববিরতা। বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অভিযোগ বিদ্যুৎ বিভ্রাট আর লোড-শেডিংয়ের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে।

অব্যাহত বিদ্যুৎ বিভ্রাট আর লোড-শেডিংয়ের কারণ সম্পর্কে বিদ্যুৎ বিভাগে যোগাযোগ করলে সিবিএ’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম রিপন জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ বিদ্যুতের লাইন ও ট্রান্সফরমার নিয়মিত সংস্কার ও মেরামত না করায় এবং বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় পুরোনো লাইন ও ট্রান্সফরমারগুলো প্রায়শই অকেজো হয়ে পড়ছে। বিভিন্ন স্থানের বিদ্যুতের লাইন ছিড়ে পড়ছে।

সিবিএ’র সভাপতি কামরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী নেত্রকোনায় যোগদানের পর বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার নাজুক অবস্থা থেকে তিনি পুরোনো বিদ্যুৎ লাইন ও ট্রান্সফরমারগুলো বদলানোর জন্য যথাযত উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার লিখিত আবেদন জানিয়ে আসছিলেন। এরই প্রেক্ষিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সাড়া দিয়ে নতুন বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় তার ও ট্রান্সফরমার সরবরাহের উদ্যোগ গ্রহন করেছেন।

এ ব্যাপারে নেত্রকোনা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রুবেল আহমেদের সাথে কথা বললে তিনি বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার কথা স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ভাল সেবা ফেতে হলে সংস্কার চলাকালীন সময়ে গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধা মেনে নিয়ে ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে। ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ সরবরাহ এবং উত্তম গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে আমরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। কাজের পরিবেশ সুন্দরের জন্য আমরা ইতিমধ্যে পুরনো জরাজীর্ন ও স্যাঁতস্যাঁতে ভবন প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী করে নতুন আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের আমূল সংস্কারের জন্য কোটি কোটি টাকা মূল্যের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে। দ্রুত গতিতে নতুন ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্র নির্মাণ, পাওয়ার ট্রান্সফরমার স্থাপন, ফিডার নির্মাণ, অভিযোগ কেন্দ্রের আধুনিকায়ন, নন-ষ্ট্যান্ডার্ড লাইন স্ট্যান্ডর্ডে রূপান্তর ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সুইচ ইয়ার্ডের আধুনিকায়নের কাজ চলছে। আশা করছি, আগামী এক মাসের মধ্যে সকল সংস্কার কাজ সম্পন্ন হবে। সংস্কার কাজ শেষ হলে নেত্রকোনায় নিরবিছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ও উত্তম গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। তখন আর বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও লোড-শেডিং থাকবে না, ইনশাল্লাহ্।

বাংলা৭১নিউজ/একে