নেত্রকোণা সদর উপজেলার কাইলাটি ইউনিয়নের ভাসাপাড়া এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা বাড়িটি সম্পর্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন ময়মনসিংহ রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) মো. শাহ আবিদ হোসেন। রোববার (৯ জুন) দুপুরে তিনি কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা যে বিষয়গুলো দেখেছি তা দেখে আমাদের মনে হয়েছে এটা জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা। এখানে বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরক, জিহাদি বই, ডেটোনেটর (বোমার যে অংশটি প্রথমে বিস্ফোরিত হয়ে মূল বোমাকে বিস্ফোরিত করে), প্রশিক্ষণের জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম রয়েছে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে তারা নিবিড়ভাবে প্রশিক্ষণ দিত। কারণ, এরকম বিভিন্ন ধরনের আলামত আমরা এখানে পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টা এমন না যে আপনি ভেতরে ঢুকলেন আর একটা একটা করে চেক করলেন। এর মধ্যে যেহেতু বিস্ফোরক আছে তাই এটা খুব বিপজ্জনক। যারা ওখানে যাচ্ছে, সবাই পুরোপুরি নিরাপত্তা নিয়ে যাচ্ছে। আল্লাহ না করুক যদি কোনো একটি দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে মারাত্মক ধরনের বিপর্যয় হবে।
ডিআইজি মো. শাহ আবিদ হোসেন বলেন, সাধারণত আমরা যা করে থাকি, এগুলোর জন্য যারা এক্সপার্ট তাদের দিয়ে আমরা কাজ করিয়ে থাকি। সেজন্য আমাদের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট কাজ করছে। কত সময় লাগতে পারে তা এখনো বলা যাচ্ছে না। তবে আজ সারাদিন লাগতে পারে বলে আমরা আশা করছি। আমরা এখনো বিস্তারিত কিছু বলতে পারব না। আমাদের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট কাজ করছে। বিস্তারিত জানার পর আমরা আপনাদের সবকিছু জানাতে পারব।
অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত ডিআইজি আব্দুল্লাহ চৌধুরী জানান, ভেতরে কয়েকটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) পাওয়া গেছে এবং এ ধরনের আরও বিস্ফোরক বানানোর মেটেরিয়াল পাওয়া গেছে। তবে কোনটা কী পরিমাণ এগুলো আমরা অভিযান শেষ হলে পরে জানাব। এ ছাড়া একটি বোমা নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।
এদিকে বোমা নিষ্ক্রিয় করায় সহযোগিতা করার জন্য জন্য ইতোমধ্যে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ