বাংলা৭১নিউজ, রাবি থেকে তানভীর ইসলাম: ‘স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল, স্বাস্থ্য ভাল না থাকলে কোন কিছুতেই মন বসে না,আর স্বাস্থ ভাল করতে যদি ভাল ট্রিটমেন্ট না পাওয়া যায় তাহলে তো ভোগান্তির শেষ নেই’ কথা গুলো বলছিলেন রাজশাহী বিশ্বিবদ্যালয়ের (রাবি) চিকিৎসা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে কথা গুলো বলছিলেন দেশের এ বিশ্বিবদ্যালয়েরই ৩৬হাজার শিক্ষার্থীর একজন। এ মেডিকেলের চিকিৎসা নিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের শেষ নেই।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চিকিৎসা কেন্দ্রে কাঙ্খিত চিকিৎসা সেবা না পাওয়ার অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। কেন্দ্রটিতে ইমার্জেন্সি চিকিৎসার নামে দেওয়া হচ্ছে শুধুই ইনজেকশন আর প্যারাসিটামল। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, চিকিৎসা কেন্দ্রটিতে নেই কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। আবার চিকিৎসকদের দায়িত্বে অবহেলায় যথাযথ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। কোনো কোনো চিকিৎসক ছুটি ছাড়াই মেডিকেল সেন্টারে অনুপস্থিত থাকেন। ফলে নির্ধারিত সময়ে চিকিৎসা সেবা নিতে এসে ফিরে যেতে হয় তাদের। সেই সঙ্গে সন্ধ্যার পরেই চিকিৎসা কেন্দ্রে কেবল ইমার্জেন্সি শাখাই খোলা থাকে। এখানে কোনো রোগী এলেই তার হাতে বা কোমরে শুধু ইনজেকশন দেওয়া হয়।
চিকিৎসক থাকলেও সমস্যার কথা ঠিকমতো না শুনেই ওষুধ লিখে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। মেডিকেল সেন্টারে প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটে।
এক অনুসন্ধানে জানা গেছে, মেডিকেল সেন্টারে দুই শিফটে ভাগ করে চিকিৎসা সেবা দেওয়ায় সকালের শিফট মোটামুটি ভালো চলে। কিন্তু বিকালে মেলে না প্রাথমিক চিকিৎসাও। বিকালে দ্বিতীয় শিফটের চিকিৎসকরা বেশিরভাগ সময়ই থাকেন না। অফিশিয়ালি ছুটি না নিয়েও অনেক সময় চিকিৎসা কেন্দ্রে আসেন না চিকিৎসকরা। আবার তালিকায় নাম থাকলেও কোনো চিকিৎসক কখন চিকিৎসা কেন্দ্রে আসবেন সেই তথ্যও জানেন না কেউ।
চিকিৎসা নিতে আসা ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আশাদুল হক বলেন, ‘আমি এখানে চর্মরোগের ডাক্তারকে দেখাতে এসেছি। কিন্তু এখানে কোনো বর্তমানে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ নেই। বাধ্য হয়েই আমাকে মেডিসিন বিশেষজ্ঞের থেকে ওষুধ নিতে হচ্ছে।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘চিকিৎসা অনুযায়ি যেসব ওষুধ দেওয়ার নিয়ম রয়েছে সে ওষুধ না দিয়ে এখানে শুধু নাপা ও প্যারাসিটামল দেওয়া হয়। আর দামি ওষুধগুলো জন্য প্রেসক্রিপশন করে দেয় বাইরে থেকে কিনে নেওয়ার জন্য। আবার এখানকার কর্মরত ডাক্তাররা শিক্ষার্থীদের সাথে সৌজন্যমূলক আচরন করে না।’
এসব বিষয়ে মেডিকেল সেন্টারের প্রধান চিকিৎসক ডা. তবিবুর রহমান শেখ বলেন, ‘আমাদের এখানে কোনো বিশেষজ্ঞ নেই। যারা ডিগ্রি করেছেন তাদের দিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তবে মেডিকেলে বিশেষজ্ঞদেও জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে নয়টি বিশেষজ্ঞ পদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছি। কিন্তু এখনো এ বিষয়ে মঞ্জুরি কমিশন এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস