রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় স্বামী-স্ত্রীকে চাপা দেওয়ার ঘটনায় বাস চালক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার কথা স্বীকার করলেও নিজের দায় অস্বীকার করছেন। সেই সঙ্গে বাসচালক দায় চাপিয়েছেন মোটরসাইকেল চালকের উপর বলে জানিয়েছেন সিআইডি।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় সিআইডি কার্যলয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) ভোরে বিমানবন্দর সড়কে দম্পতি নিহত হওয়ার পরই তদন্তে নাম সিআইডি। বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে রাতে গাজীপুরের মৌচাক থেকে গ্রেফতার করা হয় মামলার মূল আসামি বাসচালক তসিকুল ইসলামকে।
এরপর গাজীপুর থেকে তসিকুলকে নিয়ে আসা হয় সিআইডি কার্যালয়ে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চালক জানান কুয়াশার কারণে সামনে কিছু না দেখতে পারায় ঘটনাটি ঘটেছে।
তবে সিআইডি জানায়, এ ঘটনায় বাস চালক তসিকুল ঘটনার কথা স্বীকার করলেও নিজের দায় অস্বীকার করছেন। একই সঙ্গে দায় চাপাচ্ছেন মোটরসাইকেল চালকের উপর।
সিআইডি আরো জানায়, হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে ১০ বছর ধরে গাড়ি চালাচ্ছিল তসিকুল। এ ঘটনায় ২ হেলপারকে ধরতে অভিযান চলছে বলেও জানায় সিআইডি।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে বিমানবন্দর এলাকায় পদ্মাওয়েল গেটের পাশে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় মোটরসাইকেলে থাকা স্বামী-স্ত্রী নিহত হন।
দুর্ঘটনায় নিহত আকাশ ইকবাল (২৬) পদ্মা সেতু প্রকল্পে এবং তার স্ত্রী মায়া হাজারিকা মিতু (২২) হোটেল লেক ক্যাসেলে কর্মরত ছিলেন বলে জানা যায়। এ দম্পতির চার বছরের একটি শিশু সন্তান রয়েছে।
দুর্ঘটনার পর বিমানবন্দর থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মশিউল আলম জানান, নিহত স্বামী-স্ত্রীর বাড়ি দক্ষিণখানের মোল্লারটেক এলাকায়। সোমবার সকালে মোটরসাইকেলে করে তারা দুজন দক্ষিণখান থেকে খিলক্ষেতের দিকে যাচ্ছিলেন।
ওইদিন সকাল ৭টার দিকে পদ্মাওয়েল গেটের সামনে পৌঁছালে আজমেরী গ্লোরি পরিবহনের একটি বাস তাদের মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান এ দম্পতি। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এমএন