নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব হুমায়ুন কবীর বলেছেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কয়েকটি জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে, তাতে দু’জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনা ছাড়া সব নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে কোনো মৃত্যুই আমাদের কাম্য নয়।’

সারাদেশের ইউনিয়ন পরিষদ, একটি উপনির্বাচন ও দুটি পৌরনির্বাচন শেষে সোমবার ( ২১ জুন) আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব এসব কথা বলেন।

সকাল ৮টা থেকে ২০৪টি ইউনিয়নে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপ নির্বাচন এবং ঝালকাঠি ও দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার একটি কেন্দ্রের বাইরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন এবং বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ওয়ার্ডের একটি ভোটকেন্দ্রে জালভোট দেওয়ার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হন।

ইসি সচিবের মতে, ‘নির্বাচন কমিশন থেকে সারাদেশে অনুষ্ঠিত নির্বাচন মনিটরিং করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন মিডিয়ায় যেসব খবর প্রচারিত হয়েছে, তার ওপরে ভিত্তি করেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’

দুইজন নিহতের ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘প্রার্থীরা নিজেদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় নিহতের ঘটনা ঘটেছে। কাজেই তারা এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেবেন। তাছাড়া ঘটনার তদন্ত হলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।’

বাংলা৭১নিউজ/এবি