বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: নির্বাচনের প্রস্তুতির নামে লোক দেখানো সংলাপ করা হচ্ছে। এ সংলাপের পিছনে নির্বাচন বানচালের মতো যে কোনো অপতৎপরতার বিষয়ে আমরা সতর্ক আছি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার সকালে শোকাবহ জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ১৪ দল ও জাতীয় পার্টি ছাড়া আওয়ামী লীগের কাছে ৩২টি দল সংলাপের আহ্বান রেখেছে।
এর আগে শুক্রবার রাতে তিনি বলেন, যুক্তফ্রন্টের দেয়া অনেক দাবির সঙ্গেই সরকার একমত। তাদের জোটের একজন ছাড়া ২০ জন নেতা বক্তব্য দিয়েছেন।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের বক্তব্য শুনেছেন। আলোচনায় উভয়পক্ষের একটি বিষয় মিল ছিল। সেটা হল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান।’
কাদের বলেন, তাদের কিছু দাবি আমরা মেনে নিয়েছি। তারা লেভেল প্লেইং ফিল্ডের কথা বলেছেন। আমরা বলেছি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সবার জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত হবে।
তিনি আরও বলেন, তফসিল ঘোষণার পর মন্ত্রীরা পতাকা ব্যবহার করবেন না। এমপিদের ক্ষমতা থাকবে না। নতুন কোনো প্রকল্প নেয়ার অধিকার সরকারের থাকবে না। কোনো প্রকল্প উদ্বোধনও করা যাবে না। এগুলো আমরা তাদের জানিয়েছি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের কথা বলেছে তারা। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব বিষয়ে বলেছেন, সেনাবাহিনী সারা বিশ্বে অবদান রাখছে। যত্রতত্র সেনাবাহিনীকে ব্যবহার না করাই ভালো। সেনাবাহিনীকে বির্তকিত করা ঠিক হবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ইভিএম ব্যবহার প্রসঙ্গে আমরা বলেছি আরপিও অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন আগামী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের ক্ষেত্রে কতটুকু ভূমিকা রাখতে পারবে, সেটা তাদের বিষয়। তবে সিটি করপোরেশনের মতো কিছু জায়গায় ইভিএম ব্যবহার হতে পারে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইস