বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা:একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল এক মাস পেছানোর জন্য নির্বাচন কমিশনে (ইসি) চিঠি দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় ঐক্যজোট। একইভাবে তফসিল এক সপ্তাহ পেছানোর দাবি জানিয়েছে যুক্তফ্রন্টও। আর আগে থেকেই তফসিল পেছানোর দাবি ছিল গণতান্ত্রিক বাম জোটের। রাজনৈতিক জোটগুলোর এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বৈঠক করে নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে ইসি।
এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা গতকাল বলেন, এ বিষয়ে আমাদের মধ্যে কথা হয়নি। তবে আমরা খবরটা (চিঠি) পেয়েছি। সোমবার কমিশনারদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব।
ইসির একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আজ কমিশনের নির্ধারিত কোনো সভা নেই। নির্বাচনের তফসিল পরিবর্তন বা নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে কমিশন সভার প্রয়োজন হবে। আজ নির্বাচন কমিশনাররা ইভিএম মেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। তবে তারা অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করে এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
গতকাল দুপুরে পৃথক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পাশাপাশি তফসিল এক মাস পেছানোর দাবি জানায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট। এরপর বিকালে তফসিল এক মাস পিছিয়ে দেয়ার জন্য বিএনপির প্যাডে লেখা একটি চিঠি নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়। খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বিজন কান্তি সরকার, চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খানসহ কয়েকজন এ চিঠি নিয়ে ইসিতে যান।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এ চিঠিতে বলা হয়, বিএনপি, ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের মতামতকে উপেক্ষা করে তড়িঘড়ি করে কমিশনের তফসিল ঘোষণা গ্রহণযোগ্য নয়। এত কম সময়ের মধ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পন্ন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করা সম্ভব না। তাই বিএনপি এ তফসিল এক মাস পিছিয়ে দেয়ার অনুরোধ জানায়।
অন্যদিকে যুক্তফ্রন্টও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এক সপ্তাহ পেছানোর দাবি জানিয়ে ইসিকে চিঠি দিয়েছে। বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলকে আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী স্বল্পসময়ে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ, যাচাই-বাছাই, সাক্ষাত্কার ইত্যাদি ব্যবস্থা করা কঠিন হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার তারিখ এক সপ্তাহ পিছিয়ে ১৯ নভেম্বরের পরিবর্তে ২৬ নভেম্বর করা হোক।
মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ২২ নভেম্বরের পরিবর্তে ২৯ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ২৯ নভেম্বরের পরিবর্তে ৫ ডিসেম্বর করা হোক। অনুরূপভাবে ভোটগ্রহণের তারিখ ২৩ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ৩০ ডিসেম্বর করার অনুরোধ করছি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস