বাংলা৭১নিউজ,সংসদ প্রতিবেদক: প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,নির্বাচন কমিশন গঠণে আইন আইন প্রণয়নের জন্য এখন থেকেই উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।একই সঙ্গে তিনি
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ই-ভোটিং ব্যবস্থা চালু করার যেতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন। আজ বুধবার বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংরক্ষিত সংসদ সদস্য নূর-ই- হাসনা লিলি চৌধুরীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী সংসদকে এতথ্য জানান।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন আমরা চাই পরবর্তীতে প্রধান নির্বাচন
কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের লক্ষ্যে একটি উপযুক্ত আইন প্রণয়ন করা হোক। সংবিধানের নির্দেশনার আলোকে এখন থেকেই সেই উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু. অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বর্তমানে বিরাজমান সকল বিধিবিধানের সাথে সঙ্গতি রেখে জনমানুষের ভোটাধিকার অধিকতর সুনিশ্চিত করার স্বার্থে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ই-ভোটিং’ এর প্রবর্তন করার পরিকল্পনাও বিবেচনায় নেয়া যেতে পারে।
নির্বাচন কমিশন গঠন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারগণকে নিয়োগ দেন। সংবিধানের আলোকে রাষ্ট্রপতি যেরূপ উপযুক্ত বিবেচনা করেন সেই প্রক্রিয়ায় তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সম্পন্ন করেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো.
জিল্লুর রহমান সাংবিধানিক পদের অধিকারীদের সমন্বয়ে গঠিত সার্চ কমিটির মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনার নিয়োগ প্রথা চালু করেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারও রাষ্ট্রপতি বাছাই কমিটির মতামত ও সুপারিশের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি তাঁর নিজ প্রজ্ঞায়, স্বীয় বিবেচনায় ইতোধ্যে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করেছেন। রাষ্ট্রপতি সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের সুগভীর
প্রজ্ঞা ও সুবিবেচনার প্রতি আমাদের পরিপূর্ণ আস্থ ও বিশ্বাস রয়েছে।
সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ কিছু আগে শপথ গ্রহণ করেছেন। তাদের সকলকে আমি অভিনন্দন জানাই। পুনর্গঠিত নির্বাচন কমিশনে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নির্বাচন কমিশনার হিসেবে একজন নারীকে নিয়োগ দেওয়ায় আমরা আনন্দিত ও গর্বিত।চট্টগ্রাম ১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান মন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বেসরকারি খাতের গুরুত্ব বেশী।অর্থনৈতিক উন্নয়নের নিমিত্ত বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বাড়ানোই এখন
সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আওয়ামী লীঘ সরকার বিনিয়োগের মহাপরিকল্পনা গ্রহন করেছে। তিনি বলেণ, বাংলাদেশের সামনে রয়েছে ভিশন ২০২১,২০৪১ এবং এসডিজির লক্ষ্য অর্জন- করার মতো তিনিটি চ্যালেঞ্জ। এর সবগুলোর জন্য ব্যাপক বিনিয়োগ দরকার হবে। সেই সঙ্গে উচ্চ প্রবৃদ্দি অর্জনের জন্য মোট জিডিপির ২৩. ৭ শতাংশ ব্যাক্তিখাতের বিনিযোগ হতে হবে। সেই সঙ্গে উচ্চ প্রবৃদ্দি অর্জনের জন্য চলতি ২০১৭ সালের মধ্যে বিনিযোগের হার ২৪ শতাংশে উন্নতি করার পরিকল্পনা রয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এএইচ