দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে কুমিল্লা-৯ আসনের এক মনোনয়নপ্রত্যাশীকে মারধরের ঘটনাটি সাজানো নাটক বলে দাবি করেছে পুলিশ। ওই ঘটনায় পাঁচ জনকে আটকের পর এতথ্য জানানো হয়েছে। শনিবার (২৫ নভেম্বর) জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান এতথ্য জানান।
এদিকে, ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল শুক্রবার রাত থেকে কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ জনকে আটক করা হয়। আটকৃতরা হলেন- কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি মডেল থানার ছোটরা এলাকার মফিজাবাদ কলোনীর আলী হোসেনের ছেলে মো. সুমন (৩৪), মো. হোসেনের ছেলে মো. সবির (৩৭), মৃত মো. খলিলের ছেলে মুহাম্মদ সবুজ (২৮), মৃত আবদুল হাকিমের ছেলে ইকবাল হোসেন (৪৫), মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মাসুদ রানা (৩৫)।
পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বলেন, হামলার ঘটনাটি জানামাত্রই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাটি ছিলো পরিকল্পিত। নির্বাচনী পরিবেশ বিশৃঙ্খল করার লক্ষ্যে পাঁচ জন ব্যক্তিকে দিয়ে এই ঘটনা ঘটান মনোনয়নপত্র সংগ্রহকারী গোলাম সারোয়ার। পরে তাকে মারধরের ভিডিওটি ফেসবুকেও ভাইরাল করা হয়। ভিডিও ফুটেজ থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে ওই ঘটনার সাথে জড়িত পাঁচ জনকে কুমিল্লা নগরী থেকে আটক করে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ স্বীকার করেছেন। ঘটনার মূল হোতা গোলাম সারোয়ারসহ অন্যান্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) কুমিল্লা জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র নিয়ে ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন গোলাম সারোয়ার নামের এক ব্যক্তি। তাকে মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এই ঘটনায় গোলাম সারোয়ার লিখিত একটি অভিযোগও দায়ের করেন। গোলাম সারোয়ার মনোহরগঞ্জ উপজেলার ভাউপুর গ্রামের মৃত শামসুল হকের ছেলে। তিনি সরশপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ