মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে চিংড়ি উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান ফের খুলছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে আছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ডিবিতে অসুস্থ শাজাহান খানকে নেওয়া হলো ঢামেকে সোহেল তাজকে যে আশ্বাস দিলেন প্রধান উপদেষ্টা ময়মনসিংহে ফিলিং স্টেশনে আগুনে একজন নিহত, দগ্ধ ৬ হাসিনা-কাদের, ইনু-মেননের প্রতীকী ফাঁসি দেওয়া হলো টিএসসিতে কপ-২৯ সম্মেলন : আজারবাইজান সফরে যাচ্ছেন ড. ইউনূস গাজায় ‍যুদ্ধ বন্ধে প্রয়োজনীয় সবকিছু করব: কমলা হ্যারিস ইরানে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা, আইআরজিসি জেনারেল ও পাইলট নিহত বিদ্যুৎ-জ্বালানি সুরক্ষার নিশ্চয়তাকে সাংবিধানিক অধিকার করার দাবি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংস্কার কমিশন প্রধানদের বৈঠক রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি নির্ধারণে গণভোট করার দাবি কুয়াশা ও বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা ভোলায় অস্ত্র ও গুলিসহ আটক ৪ ৭ দিনের আলটিমেটামের বিষয় স্পষ্ট করে যা জানাল আদানি মেডিকেল টেকনোলজি-ফার্মেসি শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, ভয়াবহ যানজট মার্কিন নির্বাচন নিয়ে যা বলছেন গাজার বাস্ত্যুচুত বাসিন্দারা হিযবুত তাহরির ইস্যুতে যা জানালেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ শৃঙ্খলাভঙ্গে প্রশিক্ষণরত আরও ৫৮ এসআইকে অব্যাহতি

নির্বাচনকে ভয় পেয়ে ষড়যন্ত্রের পথে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা:
  • আপলোড সময় সোমবার, ২০ মার্চ, ২০২৩
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি তাদের জনপ্রিয়তার অবস্থা জানে বলেই নির্বাচনী ভীতি তাদের পেয়ে বসেছে। এ কারণে তারা নির্বাচনের পথে না হেঁটে ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে।

সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন সম্মেলন কক্ষে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট (এনআইএমসি) আয়োজিত ‘সড়ক নিরাপত্তা রিপোর্টিং’ শীর্ষক সেমিনারের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

‘নির্বাচনের ফাঁদে পা দেবে না বিএনপি’- বিএনপি মহাসচিবের এ বক্তব্য প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে আসলে নির্বাচনী ভীতি পেয়ে বসেছে। তাদের এ ভীতি অবশ্য স্বাভাবিক। কারণ, ২০০৮ সালে বিএনপি সর্বশক্তি প্রয়োগ করে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল। পরবর্তীকালে উপ-নির্বাচনে তারা ৩০টি আসন অতিক্রম করতে পেরেছে। ২০১৪ সালে তারা নির্বাচন বর্জন করেছিল।

২০১৮ সালের নির্বাচনে সব দলের ঐক্য করে ড. কামাল হোসেন সাহেবের মতো মানুষকে ‘হায়ার’ করে নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংরক্ষিত নারী আসনসহ মাত্র সাতটি আসন পেয়েছিল বিএনপি। বিএনপি নিজেদের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে জানে, নির্বাচনে সাফল্য কতটুকু হতে পারে সেটিও জানে, সে কারণেই তাদের নির্বাচনী ভীতি পেয়ে বসেছে। তারা এখন ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা চাই, বিএনপি নির্বাচন ভীতি কাটিয়ে নির্বাচনে অংশ নিক। অন্য সব গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও একইভাবে নির্বাচন হবে। নির্বাচনকালীন সরকার হবে চলতি সরকার এবং নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সেখানে সরকারি দল আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করবে। বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এটিই আমাদের প্রত্যাশা।

‘আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের কথা শুনলে একাত্তরের শান্তি কমিটির কথা মনে হয়’- মির্জা ফখরুলের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবের বাবা শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন, পাকিস্তানপন্থি ছিলেন। স্বাধীনতার পর ফখরুল সাহেবও অনেকদিন আত্মগোপনে ছিলেন। এজন্য উনার বেশি বেশি শান্তি কমিটির কথা মনে পড়ে। এর বাইরে আর কোনোকিছু নেই।

তিনি বলেন, বিএনপি যখনই রাজনৈতিক কর্মসূচি করে, হয় নিজেরা মারামারি করে অথবা পুলিশের সঙ্গে মারামারি করে। দেশে যেন শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকে সেজন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা শান্তি সমাবেশ করছি।

এর আগে সেমিনারের বিষয়বস্তু সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে ড. হাছান বলেন, একটা সড়ক দুর্ঘটনা শুধু একজন মানুষকে পঙ্গু বা হত্যা করে তা নয়, পুরো পরিবারকে হত্যা করে, পঙ্গু করে দেয়। এটিকে বন্ধ করার জন্য যানবাহন মালিক, চালক, শ্রমিক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। একই সঙ্গে টেলিভিশনগুলোকে নিজস্ব উদ্যোগে সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে। রাজনীতি নিয়ে এতো টক শো হয়, সড়ক নিরাপত্তা নিয়েও টক শো হওয়া প্রয়োজন, ভালো রিপোর্টিং হওয়া প্রয়োজন।

জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ফায়জুল হকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক আহমেদ। এছাড়া রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আল মাহবুব উদ্দীন আহমেদ, বুয়েটের এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুব আলম তালুকদার, বার্তা সংস্থা ইউএনবির উপদেষ্টা সম্পাদক ফরিদ হোসেন, বিআরটিএ পরিচালক (সড়ক নিরাপত্তা) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রাব্বানী, এশিয়া-প্যাসিফিক ইনস্টিটিউট ফর ব্রডকাস্টিং ডেভেলপমেন্ট (এআইবিডি) প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাবিল তিরমাযি, এনআইএমসি পরিচালক ড. মো. মারুফ নওয়াজ ও সেমিনার পরিচালক মোহাম্মদ আবু সাদিক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও এআইবিডির যৌথ সহায়তায় আয়োজিত দিনব্যাপী এ সেমিনারে বিভিন্ন গণমাধ্যমের ২০ জন সাংবাদিক অংশ নেন।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com