বাংলা৭১নিউজ, নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রামে নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘন্টা পরে শুরু হয়েছে ¯œাতকের (পাস) গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিষয়ের ফাইনাল পরীক্ষা।
বুধবার উপজেলার বনপাড়া শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মহিলা অনার্স কলেজ কেন্দ্রে এমন ঘটনা ঘটেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
জানা যায়, বুধবার ¯œাতক ফাইনাল পরীক্ষার গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিষয়ের প্রথম পত্রের পরীক্ষা ছিলো। রুটিন অনুযায়ী সকাল ৯টায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। এ বিষয়ের তিনজন পরীক্ষার্থী যথা সময়ে কেন্দ্রে আসলেও কেন্দ্র সচিবসহ পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কেউ কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন না। পরে লোক মাধ্যমে খবর পেয়ে ইউএনও আনোয়ার পারভেজ নিজে কেন্দ্রে এসে কেন্দ্র সচিবসহ অন্যদের ডেকে আনান।
কিন্তু কেন্দ্র সচিব এ বিষয়ের কোন পরীক্ষার্থী আছে কিনা জানা না থাকায় তার কাছে কোন প্রশ্ন নেই বলে জানান। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজ দায়িত্বে জেলা সদরের একটি কেন্দ্র থেকে প্রশ্ন সংগ্রহ করে আনলে নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘন্টা পরে সকাল সাড়ে ১০টায় পরীক্ষা শুরু হয়। এ ঘটনায় পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকসহ স্থানীয় লোকজনের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এসব শিক্ষার্থীরা বনপাড়া ডিগ্রী কলেজের ছাত্র হিসাবে এ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়ে আসছে।
এ ব্যাপারে কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা জানান, এ ব্যাপারে কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা মিটিংএ আছেন জানিয়ে বলেন, আপনি জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের কন্ট্রোলারের সাথে কথা বলেন কারণটা জানতে পারবেন বা ইউএনও ’র সাথে কথা বলেন। এরপর তিনি ফোন কেটে দেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার পারভেজ জানান, এসব পরীক্ষার্থীরা নির্ধারিত সময়ে ফরম পূরণ করতে না পারায় পরে শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে ফরম পূরণ করেছিল। এ কারণে কেন্দ্রে তাদের তথ্য ছিলো না। তবে এটা নিঃসন্দেহে সচিবসহ শিক্ষকদের গাফিলতি। এটা তাদের জানা ও প্রস্তুতি নেয়া উচিৎ ছিলো। এ ধরণের গাফিলতির কারণে কেন্দ্র সচিবকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হবে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস