বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: আইনমন্ত্রী আনিুসুল হক জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার সবগুলো মামলার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রাজধানীর বকশিবাজারের আলিয়া মাদ্রাসার অস্থায়ী আদালতে স্থানান্তর মোটেও রাজনৈতিক কারণে করা হয়নি। আমরা দুই পক্ষেরই সিকিউরিটির ব্যাপারটা চিন্তা করেই তার মামলার বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সোমবার সচিবালয়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত লন্ডন পার্লামেন্টের স্পিকার সাবিনা আকতারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন খালেদা জিয়া যেদিন আদালতে হাজিরা দিতে যান, সেদিন তিন চারশ লোককে নিয়ে আদালতে যান। তারা অনেক সময় সিকিউরিটির বিঘ্ন ঘটায়। শুধু তাই নয় তার (খালেদা জিয়া) সিকিউরিটির বিষয়টি আমাদের দেখা দরকার। এ দুই দিক বিবেচনা করেই আমরা মনে করেছি তার মামলার কার্যক্রম সেখানে (বকশিবাজার) ট্রান্সফার করলে এ ধরনের প্রতিবন্ধকতাগুলো থাকবে না।
প্রধান বিচারপতির নিয়োগ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে আইনমন্ত্রী বলেন, এটা তো এখন আমি বলবো না। দেখুন আমি এর আগে একাধিকবার বলেছি প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে মহামান্য রাষ্ট্রপতির বিষয়।
লন্ডন থেকে তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সে দেশের স্পিকারের সাথে কোন কথা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ওনার সাথে তারেক রহমানের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কথা বলিনি। এসময় তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বাংলাদেশ সফররত সেদেশের স্পিকার সাবিনা আকতার মাথা নাড়িয়ে জানান দিচ্ছিলেন- না এ নিয়ে কোনো কথা হয়নি।
খালেদা জিয়ার মামলাগুলো শেষ করতে সরকার তাড়াহুড়া করছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন- না, তার মামলা ডিউ প্রসেসে শেষ হচ্ছে। তার এমন মামলাও আছে যা ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে। সেক্ষেত্রে তার কোনো মামলাই দ্রুততার সাথে শেষ করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়।
লন্ডন স্পিকার সাবিনা আকতারের সাথে কী ধরনের কথা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, তার সাথে অনেক বিষয়ে কথা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সমস্যাগুলো সমাধানে কী করা যায়। যেখানেই কোনো প্রবাসী বাংলাদেশি কোনো মামলা মোকদ্দমায় পড়েন, তারা কিভাবে সহযোগিতা পেতে পারেন তা নিয়ে কথা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস