বাংলা৭১নিউজ, মির্জাপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নিজ উদ্যোগে দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা ইট বালু ফেলে মেরামত করছেন প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা। দশ গ্রামের হাজারো মানুষের চলাচলের দুর্ভোগ লাগবে ব্যাক্তিগত খরচে তা মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছেন প্রবাসী তিনি। চলাচলের অনোপযোগি প্রায় ওই রাস্তা মেরামতে তার প্রায় চার লাখ টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হংকং শাখার সভাপতি ও মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ লিটন তাঁর ব্যাক্তিগত খরচে এই রাস্তা মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
আবুল কালাম আজাদ লিটন বহুরিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাঈদ ছাদুর ছেলে। তিনি দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে স্ব পরিবারে হংকং বসবাস করে ব্যবসা বাণিজ্য করছেন।
শুক্রবার বাদ জু’মা উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের গেড়ামারা উওর পাড়া থেকে বিল গজারিয়া পযন্ত দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে।
শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ট্রাক দিয়ে কাঁচা রাস্তায় ইট বালু ফেলে রাস্তা মেরামতের কাজ করছেন শ্রমিকরা।
বহুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মো. বাচ্ছু মিয়া, দেলুয়ার হোসেন, আবু আলম বোখারি, সাবেক মেম্বার, রিপন, মন্টু. গেড়ামারা গ্রামের আবদুর রহিম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সরোয়ার ভান্ডারী. দিগুলিয়া গ্রামের মিজান, সাবেক মেম্বার সাঈদ মিয়া, বিল গজারিয়া গ্রামের চিনি খান, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক. স্বপনসহ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ রাস্তার এ উন্নয়ন কাজ তদারকি করছেন।
বর্তমানে হংকং এ অবস্থানকারী আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ লিটনের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, ব্যাক্তিগত সমর্থ অনুযায়ী দেশের প্রতিটি নাগরিককে নিজ নিজ এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে উন্নত দেশ হিসেবে জায়গা করে নিতে যাচ্ছে।উন্নত বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিককে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে।এ সময় তিনি ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে রাস্তা মেরামতের কাজ পর্য়বেক্ষন করেন এবং স্থানীয নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।
আবুল কালাম আজাদ লিটন এর আগেও বহুরিয়া গ্রামে একটি নতুন রাস্তা নির্মাণে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছিলেন বলে জানা গেছে।
আবুল কালাম আজাদ লিটনের চাচাতো ভাই জুলহাস, বিলগজারীয়া গ্রামের চিনি খান, গেরামারা গ্রামের আব্দুর রহিম, গোহাইলবাড়ী গ্রামের আলম মেম্বার দেলুয়ারসহ অনেকে বলেন, আবুল কালাম আজাদ লিটন ব্যবসার প্রয়োজনে বছরের অধিকাংশ সময় প্রবাসে অবস্থান করলেও তিনি নিয়মিত এলাকার গরীব ও অসহায় মানুষকে আর্থিক সহযোগিতা করে থাকেন। এছাড়া এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদরাসা, কবরাস্থানসহ সামাজিক প্রতিষ্ঠানেও আর্থিক সহযোগিতা করে থাকেন।
আবুল কালাম আজাদ লিটনের পিতা বহুরিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাঈদ ছাদু বলেন, বংশ পরামপরায় আমরা মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। আমার ছেলে লিটনও সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চলেছেন। তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে যে উন্নয়ন শুরু হয়েছে। যার যার অবস্থান থেকে এই উন্নয়ন কাজে শরীক হলে উন্নত দেশ গড়তে বেশি সময়ের প্রয়োজন হবে না।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস