বাংলা৭১নিউজ, এ কে এম আব্দুল্লাহ, নেত্রকোনা প্রতিনিধি: নিখোঁজ হওয়ার সাড়ে তিন মাস পর শ^শুড় বাড়ীর পুকুর পাড়ের মাটির নীচ থেকে শনিবার রাতে বস্তাবন্ধী গৃহবধু কল্পনা আক্তারের (৩০) লাশ উদ্ধার করেছে পূর্বধলা থানা পুলিশ। গৃহবধু হত্যাকান্ডে জড়িত থাকায় স্বামী রহমত আলী (৩৬) ও শ্বাশুড়ী আয়েশা খাতুনকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বিল্লাল উদ্দিন জানান, পূর্বধলা উপজেলা সদরের মিডিয়া আইডিয়াল স্কুল সংলগ্ন এলাকার নূর হোসেনের পুত্র রহমত আলী ছয় বছর পূর্বে একই উপজেলার মেঘশিমুল গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্ত (স্বামীর নাম আব্দুর রহিম) হালিমা খাতুনের মেয়ে কল্পনা আক্তারকে বিয়ে করে। বিয়ের পর তাদের সংসারে দুটি সন্তান জন্ম নিলেও স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে সন্দেহে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায়শই ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। গত ৯ এপ্রিল রাত থেকে গৃহবধু কল্পনা নিখোঁজ হয়ে যায়। এ ব্যাপারে রহমত আলীর পিতা নূর হোসেন পূর্বধলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন।
অপরদিকে কল্পনার মা হালিমা খাতুন তার মেয়ের কোন খোঁজ খবর না পেয়ে স্বামী ও তাদের বাবা মাকে আসামী করে গত ৩ জুলাই নেত্রকোনা আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পূর্বধলা থানার ওসিকে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। ওসি মামলাটি তদন্ত কালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পলাতক স্বামী রহমত আলীকে গত শুক্রবার গাজীপুর কোনাবাড়ী এলাকা থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ কালে এক পর্যায়ে স্ত্রীকে স্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর বাড়ির পেছনে পুকুর পাড়ে মাটির নীচে বস্তাবন্ধী করে পুতে রাখার কথা স্বীকার করে। তারই স্বীকারোক্তি মোতাবেক গত শনিবার রাতে বাড়ীর পিছনের পুকুর পাড় থেকে নিখোঁজ গৃহবধু কল্পনার গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় রহমত আলীর মা আয়েশা খাতুনকেও পুলিশ গ্রেফতার করে।
লাশ ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস