বাংলা৭১নিউজ, নাটোর প্রতিনিধ: নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগে নাটোরের আল-সান হাসপাতালের মালিক ও পরিচালক শফিউল আলম বাবলুকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে তাকে আটক ও অশ্লীল ভিডিও জব্দ করে পুলিশ। এই ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী।
নাটোর সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত জানান, নির্যাতিতা ঐ নার্স ২০১২ সালে শহরের বড়হরিশপুরে আল সান হাসপাতালে নার্স হিসাবে যোগ দেন। সম্প্রতি তাকে পরিচালক শফিউল ইসলাম বাবলু ব্যাক্তিগত সহকারী হিসাবে নিয়োগ দেন। এরপর তাকে পরিচালক ধর্ষন করে এবং ধর্ষনের চিত্র মোবাইলে রেকর্ড করে। ঐ ভিডিও দেখিয়ে একাধিক বার তাকে ধর্ষন করে পরিচালক। শনিবার বিকেলে তাকে আবারও ধর্ষনের চেষ্টা করলে সে সন্ধ্যায় সদর থানায় অভিযোগ করে। পুলিশ রাতে পরিচালক শফিউল ইসলাম বাবলুকে গ্রেফতার করে।
নির্যাতিতার পরিবার জানায়, দুলাভাইয়ের বাড়িতে থেকে শহরের বড়হরিশপুর এলাকায় বেসরকারি আল সান হাসপাতালে নার্সের চাকরি করতেন ধর্ষণের শিকার হওয়া মেয়েটি। সম্প্রতি হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় পরিচালক বাবলু তার নিজস্ব চেম্বারে ওই মেয়েটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণের পর ভিডিও চিত্র ধারণ করে রাখে। পরে ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাক মেইল করে একাধিকবার মেয়েটির সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে বাবলু। মান-সম্মানের ভয়ে মেয়েটি এবং তার পরিবার কাউকে কিছু না জানিয়ে চুপচাপ থেকে যায়।
এরপর আবারো বাবলু মেয়েটির সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইলে রাজি হয় না মেয়েটি। পরে বাবলু শনিবার বিকেলে তাকে আবারও ধর্ষনের চেষ্টা করলে সে সন্ধ্যায় সদর থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ রাতে বাবলুকে গ্রেফতার করে। হাসপাতাল থেকে পরিচালক শফিউল ইসলাম বাবলুর বেশ কিছু সিডি উদ্ধার করেছে পুলিশ ।
রাতে নির্যাতিতা নার্স বাদি হয়ে পরিচালক শফিউল ইসলাম বাবলুকে অভিযুক্ত করে মামলা করেছেন। একটি প্রভাবশালী মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দেবার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস