কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে মারধর করেছে ইউপি মেম্বার ও তার ভাই। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছে। আহত ওই নারী ভয়ে বাড়ি ছেড়ে গিয়ে অন্য উপজেলায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। এই সংবাদ লিখা পর্যন্ত ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

ভিডিওতে দেখা যায়, উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের কোম্পানীগঞ্জ বাজারে সুরুজ মিয়ার মার্কেটের দেলোয়ার মিয়ার দোকানে প্রকাশ্যে এক মহিলাকে লাঠিশোটা দিয়ে মারধর করছে ওই ইউনিয়নের মেম্বার দেলোয়ার (৩৮), ও তার ভাই সুমন সরকার (৩০)। আহত নারী উত্তর ত্রিশ গ্রামের মোঃ শরিফুল ইসলামের স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৩৭)। মরিয়ম বেগম থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।  

মারধরে আহত মরিয়ম বেগম মুঠো ফোনে এই প্রতিবেধককে বলেন, ‘গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় উত্তর ত্রিশ নিজ গ্রাম থেকে কোম্পানীগঞ্জ বাজারে যাওয়ার পথে একই গ্রামের মৃতঃ শাহ আলম মেম্বারের ছেলে মেম্বার দেলোয়ার হোসেন ও তার ভাই সুমন মিয়ার নেতৃত্বে উত্তর ত্রিশ গ্রামের আলাউদ্দিন, মো. সুদন মিয়ার ছেলে মোঃ হাবিব (২৬), রাসেল (২৪), মাও. ইউনুস মিয়ার ছেলে মোঃ জামাল মিয়া (২৬),মৃত লতিফ মিয়ার ছেলে মোঃ আলমগীর (৩০) হাসু মিয়া ছেলে হেলাল (২৬), মৃত. তবদল হোসেন ছেলে রনি (২৩) সহ আরো ৫/৬জন আমাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে একটি দোকানের ভিতরে বেধরক মারধর করে।  

কেন মারধর করেছে? এই প্রশ্নে, তিনি বলেন, ১৯৯১ সাল থেকে কুমিল্লা বিজ্ঞ আদালতে ১শ’ শতাংশ জমির বাটোয়ারা মামলা চলছে মেম্বার দেলোয়ার হোসেনের সাথে। ওই জমির আপোষ মিমাংশা করবে বলে আমাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে দোকানের ভিতরে মারধর করে মেম্বার দেলোয়ার ও তার লোকজন।

তিনি আরো বলেন ‘দেলোয়ার মেম্বার ও তার লোকজনের ভয়ে দ্বেবিদ্বার উপজেলা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি। তাদের নির্যাতনের ঘটনা মনে হলেই ভয়ে বুক ধরফর করে। এ ঘটনায় মামলা করলে তারা আমাকে এসিড দিয়ে পুড়িয়ে মারার হুমকি দিয়েছে। তাই বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আছি। ’

অভিযুক্ত নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের সাত নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, মরিয়ম বেগমের সাথে আমাদের জমির কোনো ঝামেলা নেই। সে নেশা বিক্রি করে। তাকে ভালো হয়ে চলার পরামর্শ দিলে সে গালাগাল শুরু করে, ফলে রাগের মাথায় তাকে চড়থাপ্পর মারি।  

১৫ নং নবীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ভিপি জাকির হোসেন বলেন, মরিয়ম বেগম ও দেলোয়ার মেম্বারের সাথে জামেলার কথা শুনেই ঘটনাস্থলে এসে উভয়কে নিবৃত করি।

মুরাদনগর থানার ওসি আবু হাসিম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুক ব্যবস্থা নিবো।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ