বাংলা৭১নিউজ,নাটোর থেকে মোঃ মনজুর-ই-মওলা সাব্বির: নােটর উত্তরা গণভবনের মূল স্থাপনাকে অক্ষুন্ন রেখে তা পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে নাটোর জেলা প্রশাসন। শনিবার বেলা ১১টায় এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে নাটোর উত্তরা গণভবনের ব্যবস্থাপনা কমিটি, সুশীল সমাজ ও নাটোরে কর্তব্যরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।
উত্তরা গণভবনে থ্রিডি কমপ্লেক্স ও কফি শপ স্থাপনা তৈরীর উদ্যোগের বিপরীতে কিছু পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী ১৮ মার্চ সোমবার হাইকোর্টে করা এক রিটের প্রতিক্রিয়ায় এ মত বিনিময়ের আয়োজন করা হয়।
এ মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন রাজা-রাজরার দেশ নাটোরের উত্তরা গণভবন একটি ঐতিহ্য ও ইতিহাসের ধারক। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে নাটোর দীঘাপতিয়া রাজবাড়িকে প্রধানমন্ত্রীর ২য় বাসভবন হিসেবে উত্তরা গণভবন নাম দেন। এমন ইতিহাস সম্বলিত একটি স্থাপনার কোনরূপ পরিবর্তন বা পরিমার্জন করা বা ঐতিহ্যের ভিতরে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে স্থাপনা তৈরী করা ঐতিহ্যকে কুঠারাঘাত করার শামিল।
তবে পর্যটকদের সুবিধার জন্য উত্তরা গণভবনের বাইরে ৩একর জায়গার উপর অত্যাধুনিক হোটেল, মোটেল, সিনেপ্লেক্স, ৫ডি থিয়েটার, সুইমিং পুল ইত্যাদি করার পক্ষে মত দেন উপস্থিত বক্তারা।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক শাহরিয়াজ বলেন- নাটোর উত্তরা গণভবন, নাটোর রাজবাড়ি, চলনবিল সহ অনেক ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর একটি জনপদ। এখানকার জনগণও ইতিহাস সংরক্ষণে বদ্ধপরিকর। সেহেতু নাটোর গণভবনকে পরিবর্তন করার কোন ইচ্ছা প্রশাসনের নেই। বরঞ্চ ইতিহাস সংরক্ষণ করে এলাকার উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষে উত্তরা গণভবনের মূল স্থাপত্য ঠিক রেখে গণভবনের বাইরে ৩ একর জায়গায় উন্নত হোটেল, মোটেল, সুইমিং পুল, সিনেপ্লে´ এবং আনুষঙ্গিক স্থাপনা তৈরী করলে জেলার বাইরে থেকে অনেক পর্যটক এই স্থাপত্য দেখতে আগ্রহী হবে ও পর্যটকদের আগমন বাড়বে।
এ মতবিনিময় সভায় আরোও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ রাজ্জাকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহি অফিসার জেসমিন আক্তার বানু, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড. সাজেদুর রহমান, জজ কোর্টের পিপি এ্যাড. সিরাজুল ইসলাম, নাটোর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ জালাল উদ্দিন প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/এমই