রোপা আমন মৌসুমের ধান এখনও পুরোপুরি ঘরে তুলতে পারেননি নাটোরের কৃষকরা। এর মধ্যেই কমতে শুরু করেছে দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে নাটোরের তেবাড়িয়া হাটে প্রতিমণ ধানের দাম কমেছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। তবে, অপরিবর্তিত রয়েছে বাজারে চালের দাম।
প্রতিদিন সকালেই কৃষকরা তাদের ধান বিক্রি করতে নিয়ে আসেন নাটোর সদর উপজেলার তেবাড়িয়া হাটে। আসার আগে ধানের ভালো দাম পাওয়ার আশা করলেও হাটে এসে হতাশ হচ্ছে তাদের। বাজারে চালের দাম না কমলেও প্রতিদিনই কমছে ধানের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিমণে ধানের দাম কমেছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা।
বাজারে প্রতিমণ সমা ধান বিক্রি হচ্ছে ৯৮০ টাকায়, স্বর্ণা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০, বিআর-১০ ১১শ’ থেকে ১১৫০ টাকা, ৪৯ ধান ১১শ’ থেকে ১১২০ টাকা, ২৮ ধান ১১৫০ টাকা, কাটারিভোগ ১২শ’ টাকা।
কৃষকরা বলছেন, ইরি মৌসুমের চেয়ে রোপা আমনে প্রতি বিঘায় ধানের ফলন ১২ মণ কম হওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। তাই এ ধানে লাভ কম। কৃষকদের অভিযোগ, প্রতিবারই নতুন ধান ওঠার পরই মিলাররা চক্রান্ত করে দাম কমিয়ে দেয়। চাষির সঙ্গে ব্যবসায়ীরাও ধানের দাম কমের জন্য মিলারদেরই দায়ী করছেন।
চলতি বছর জেলায় প্রায় ৬৮ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান আবাদ হয়। আর এ পর্যন্ত জেলায় ৪৫ হাজার ৮২৬ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এএম