বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: ঘুষের ৫ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার নৌ-পরিবহন অধিদফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার ও চিফ সার্ভেয়ার ড. এসএম নাজমুল হকের জামিন শুনানির জন্য আগামী ১৩ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার আসামি নাজমুল হকের জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন শুনানির জন্য প্রস্তুতি না থাকায় সময় আবেদন করেন দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
দুদকের সময় আবেদন মঞ্জুর করে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা জামিন শুনানির পরবর্তী ওই দিন ধার্য করেন।
জানতে চাইলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দফায় জামিন শুনানির দিন এগিয়েছে। গ্রেফতারের পর পরই আসামিকে আদালতে উপস্থাপন করলে ঢাকার হাকিম আদালত আসামির জামিন নাকচ করেন। এরপর আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জামিন শুনানির জন্য ২০ মে দিন ধার্য করেন উচ্চতর আদালত (ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত)।
এরপর আসামিপক্ষ জামিন শুনানি এগিয়ে আনার আবেদন করলে আদালত শুনানির জন্য ৭ মে দিন ধার্য করেন। এরপর ফের আসামিপক্ষ জামিন শুনানি এগিয়ে আনার আবেদন করলে আদালত তাও গ্রহণ করে আসামি নাজমুল হকের জামিন শুনানির জন্য এদিন (বৃহস্পতিবার) ধার্য করেন। তবে এদিন প্রস্তুতি না থাকায় শুনানি পেছানোর আবেদন করা হয়। আদালত তা মঞ্জুর করে আসামির জামিন শুনানির জন্য পরবর্তী ওই দিন ধার্য করেছেন।
আদালত সূত্র জানায়, এর আগে চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল রিমান্ড শেষে আসামি নাজমুল হককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। সেই থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল আসামির এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ২২ এপ্রিল আসামিকে রিমান্ডে নেয়া হয়। চলতি বছরের ১২ এপ্রিল সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে দুদকের একটি টিম রাজধানীর সেগুনবাগিচার সেগুন রেষ্টুরেন্ট থেকে তাকে গ্রেফতার করে। ওই দিন দুপুরে দুদকের সহকারী পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে নাজমুল হকের বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। বর্তমানে তিনিই মামলাটি তদন্ত করছেন। এরও আগে গত বছরের ১৮ জুলাই ঘুষের ৫ লাখ টাকাসহ নৌপরিবহন অধিদফতরের তৎকালীন চিফ ইঞ্জিনিয়ার ও চিফ সার্ভেয়ার একেএম ফখরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছিল দুদকের টিম। ফখরুল বেশ কিছুদিন জেল খেটে পরে জামিনে মুক্ত হন। তার পথ ধরেই আরেক চিফ সার্ভেয়ার এবার ঘুষের জালে ধরা পড়লেন।
সূত্র আরও জানায়, মেসার্স সৈয়দ শিপিং লাইন্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মো. হাসান ইমাম দুদকের কাছে অভিযোগ করেন যে, তাদের কোম্পানির একটি জাহাজের নকশা অনুমোদন ও আকেটি জাহাজের নামকরণে অনাপত্তিপত্র দিতে গড়িমসি করছিলেন ড. নাজমুল হক। একপর্যায়ে তিনি এ কাজের জন্য ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন। তার চাওয়া ১৫ লাখ টাকার মধ্যে প্রথম কিস্তিতে ৫ লাখ টাকা দেয়া হয়। চলতি বছরের ১২ এপ্রিল দ্বিতীয় কিস্তিরর ৫ লাখ টাকা দেয়ার কথা ছিল। ওই টাকা নেয়ার জন্য নাজমুল হক ওই দিন সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে সেগুন রেষ্টুরেন্টে হাজির হন। দুদকের টিমও ঘুষ লেনদেনের তথ্য আগাম জানতে পেরে সেখানে হানা দেয়। আর ৫ লাখ টাকা নেয়ার সময় হাতেনাতে আটক হন নাজমুল।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস