বাংলা৭১নিউজ,(ময়মনসিংহ)প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বড় ভাইয়ের শ্বশুরের (তালই) দ্বারা ধর্ষিত হয়ে নবম শ্রেণির এক মাদরাসা শিক্ষার্থী (১৫) অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাগলা থানাধীন পাইথল ইউনিয়নের গোয়ালবর গ্রামে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পাগলা থানা পুলিশ বুধবার অভিযুক্ত আতাউর রহমানকে (৩৭) গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে ময়মনসিংহ জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত আতাউর রহমান লালমনিরহাট জেলার সদর থানাধীন কিছামত হারাটি গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে। সে গফরগাঁওয়ের পাগলা থানাধীন গোয়ালবর গ্রামের জনৈক রুবেলের মুরগির খামারে চাকরি করে এবং খামারের পাশে পরিবার নিয়ে বসবাস করত।
মামলার এজাহারসূত্রে জানা যায়, উপজেলার গোয়ালবর গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে গয়েশপুর দাখিল মাদরাসায় নবম শ্রেণিতে পড়ে। অভিযুক্ত আতাউর রহমানের মেয়ে-ও (১৮) একই শ্রেণিতে পড়ালেখা করার সূত্রে দুজনের মধ্যে সখ্য গড়ে উঠে। পরে আতাউর রহমানের মেয়েকে রফিকুল ইসলাম ছেলের বউ করে ঘরে তোলেন। আত্মীয়তার সুবাদে রফিকুল ইসলামের মেয়ে আতাউরের বাড়িতে বেড়াতে যেত। গত ২৮ মে মেয়েটি বেড়াতে গেলে রাত ৯টার দিকে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে আতাউর রহমান জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং হুমকি দেয় এ ঘটনা কাউকে জানালে ক্ষতি করবে। পরে মেয়েটি ভয়ে এ কথা কাউকে জানায়নি। এরপর মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু সম্প্রতি মেয়েটির শারীরিক পরিবর্তন হলে পরিবারের লোকজন দিশেহারা হয়ে পড়েন এবং চাপ প্রয়োগ করে প্রকৃত ঘটনা জানতে পারেন। পরে ডাক্তার দেখিয়ে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন।
এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে পাগলা থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত আতাউর রহমানকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে ময়মনসিংহ জেল হাজতে প্রেরণ করেন। মেয়েটির বাবা বলেন, মারুষরূপী পশুটা আমার মেয়ের জীবনটা ধ্বংস করে দিল। আমি ওর ফাঁসি চাই।
পাগলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফয়েজুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত আতাউরকে আমরা খুব দ্রুত গ্রেপ্তার করেছি। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পাগলা থানার ওসি শাহিনুজ্জামান খান বলেন, বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর হওয়ায় অভিযোগ পাওয়ামাত্র মামলা রেকর্ড করে আসামি গ্রেপ্তার করেছি। আসামির বাড়ি যেহেতু লালমনিরহাট দেরি হলে পালিয়ে যেত।
বাংলা৭১নিউজ/পিআর