বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, নদীগুলোর পানির প্রবাহ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ নদীগুলোকে সংরক্ষণ করা হবে। পরিবেশগত ও অর্থনৈতিক কারণে শুষ্ক মৌসুমে নদীগুলোর পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বজায় রাখা একান্তভাবে জরুরি।
আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে এশিয়ান টিভি ও প্রিমিয়ার নিউজ সিন্ডিকেট আয়োজিত ‘নদী রক্ষা- দেশ রক্ষা ও মানবতা রক্ষা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় পানিসম্পদ মন্ত্রী বলেন,“উজানের দেশের হস্তক্ষেপের কারণে বাংলাদেশের ছোট বড় নদ-নদীগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। এখনই সঠিক সময় নদীর সমস্যা নিয়ে দেশে এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে কথা বলার।”
তিনি বলেন, “বড় নদীগুলো রক্ষার পাশাপাশি, ছোট ছোট নদীগুলোর অস্তিত্ব রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।”
নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান আলোচনার সূত্রপাত করেন। পানিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, সমগ্র উত্তর-পশ্চিম এলাকার নদীগুলোতে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে না পারলে এই এলাকা মরুকরণের শিকার হবে।
নদীগুলোর পানির প্রবাহ ধরে রাখতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে। স্বাধীনতা পরবর্তী বঙ্গবন্ধুর সরকার প্রথম নদীর পানির প্রবাহ ধরে রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করে। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর এই উদ্যোগ বন্ধ হয়ে যায়।
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমদ খান আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন।
এশিয়ান টিভির চেয়ারম্যান হারুন উর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিআইডাব্লিউটিএ’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ভোলানাথ দে ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুর রহমান বক্তব্য রাখেন।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, আন্তঃদেশীয় সংযোগ নদীগুলোর ভালো ব্যবস্থাপনার জন্য আঞ্চলিক দেশ ভারত, চীন, নেপাল ও ভূটানের সাথে আলোচনার মাধ্যমে একটি সমঝোতা গড়ে তুলতে হবে।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, সরকার নদীগুলোর অবৈধ দখলদার রোধে, পরিবেশ ও নাব্যতা রক্ষায় কাজ করছে। কয়েকশত নদীর পানির প্রবাহ চালু রাখার জন্য সরকার কাজ করছে। তিনি বলেন, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় নদীর নব্যতা, নদীর তীর রক্ষা, পরিবেশ রক্ষায় বেশ কয়েকটি কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। নদীর তীর দখলকারীদের হাত থেকে নদী রক্ষায় ও নদীর স্বাভাবিক গতিপথ বজায় রাখতে সকল প্রকার অবৈধ অবকাঠামো উচ্ছেদ করা হচ্ছে।
পানিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার অনুযায়ী দেশের বড় নদী, ছোট নদী ও উপকূলীয় এলাকায় প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে নদী খনন কাজ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। নদী খনন বিভাগকে আরো শক্তিশালী ও সক্ষমতা করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস