বাংলা৭১নিউজ,(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর মহিপুরে থানা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি জামাল হোসেনসহ ক্ষমতাসীন দলের দুই নেতার বিরুদ্ধে খাপড়াভাঙ্গা নদীর দুই তীর অবৈধভাবে খনন করে মাটি বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে হুমকিতে পড়েছে নদী তীর সংলগ্ন বেড়িবাঁধ।
স্থানীয়রা জানান, কলাপাড়ার খাপড়াভাঙ্গা নদীর দুই তীরে দক্ষিণাঞ্চলের বৃহত্তর মৎস্য বন্দর আলীপুর-মহিপুর। এই নদী দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মাছ ধরার ট্রলার সাগরে আসা-যাওয়া করে। একই সঙ্গে নদীর পাড়ের বেড়িবাঁধটি এ অঞ্চলের মানুষদের ঝড় ঝঞ্ঝাট থেকে রক্ষা করে। কিন্তু সেই নদী পাড় থেকে যে যার মত করে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে।
তারা জানান, নদীর মাইটভাঙ্গা সংলগ্ন এলাকায় তীর খনন করে মাটি কেটে তা পাঁচ কিলোমিটার দূরে কুয়াকাটা বেড়িবাঁধ এলাকায় নিয়ে যাচ্ছেন মহিপুর থানা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি জামাল হোসেন। গত কয়েকদিন ধরে এভাবে মাটি কাটাচ্ছেন তিনি। ক্ষমতাসীন দলের ওই নেতাকে বাধা দেয়ার সাহস পাচ্ছে না। এতে হুমকিতে পড়েছে বেড়িবাঁধটি। ওই স্থানে বনবিভাগের বেশকিছু গাছও রয়েছে।
তারা আরও জানান, এর কিছুদূরে নদীর আরেক অংশের তীর খনন করে সেই মাটি ইটভাটায় ব্যবহার করছেন আরেক প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা ইউসুফ ফরাজি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, যে কোনো সময় খননকৃত অংশ দিয়ে বেড়িবাঁধটি ভেঙে যেতে পারে। তাই বেড়িবাঁধের আশপাশের বাসিন্দারা চরম দুশ্চিন্তার আছেন।
লতাচাপলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনসার উদ্দিন মোল্লা জানান, মাটি কাটতে নিষেধ করলেও তারা আমার কথা শোনেনি। যে কারণে তাৎক্ষণিক আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) জানিয়েছি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত মহিপুর থানা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি জামাল হোসেন জানান, ‘এখানের স মিলের (করাত কল) মালিক লতিফ মোল্লা আমাকে মাটি কাটতে বলেছে ।
ইউএনও মো. মুনিবুর রহমান জানান, ঘটনা শুনে আমি মাটি কাটতে নিষেধ করেছি। নদীর পাড় থেকে যারা অবৈধভাবে মাটি কেটে ব্যবহার করছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলা৭১নিউজ/পিআর