বাংলা৭১নিউজ,(রংপুর)প্রতিনিধি: তিস্তার পানি কিছুটা কমলেও রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। ফসলি জমিসহ ঘরবাড়ি বিলীনের পাশাপাশি গঙ্গাচড়ায় পানির তোড়ে মার্জিনাল ডাইক (প্রান্তিক বাঁধ) এর ব্লক পিচিং ধসে গেছে। গত কয়েকদিনের বন্যায় তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নোহালী ইউনিয়নের বৈরাতি নামক স্থানে অবস্থিত মার্জিনাল ডাইকের প্রায় ৭০ ফুট অংশের ব্লক পিচিং ধসে যায়। স্থানীয়রা ভাঙন ঠেকাতে বাঁশ পুঁতে রেখেছে।
তারা জানায়, ২০১৮ সালে এখানে ব্লক পিচিং করা হলেও সামনে ব্লক ডাম্পিং না করার কারণে পানির তোড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট এলাকার উপসহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান, দুই এক দিনের মধ্যে সেখানে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হবে।
অন্যদিকে রংপুরের পীরগঞ্জে করতোয়া নদীর বাম তীর প্রতিরক্ষা কাজ শেষ না হতেই আবারো বাঁধের ব্লক ধসে গেছে। গত শনিবার রাতে উপজেলার চতরা ইউনিয়নের বদনাপাড়া এলাকায় এই ব্লক ধসের ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর, পীরগাছা, পীরগঞ্জ ও রংপুর সদর উপজেলার যমুনেশ্বরী, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর তীর সংরক্ষণ ও নদী পূণঃখনন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে রংপুরের পীরগঞ্জের করতোয়া নদীর বাম তীর রক্ষায় বদনাপাড়া নামক স্থান থেকে ৪০০ মিটার বাঁধে ব্লক স্থাপনের কাজ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স খায়রুল কবির রানা। শনিবার রাতে সদ্য নির্মিত ওই বাঁধের আনুমানিক ৫০ ফুট জায়গার ব্লক নদীগর্ভে ধসে যায়।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উপবিভাগীয় প্রকৌশলী গোলাম জাকারিয়া জানান, নদীতে পানির গভীরতা বেশি থাকায় ব্লক নদীতে ধসে যাচ্ছে। তবে কাজ এখনো বুঝে না নেওয়ায় এর দায়ভার বহন করবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
বাংলা৭১নিউজ/এসআর