শেখ হাসিনার শিল্প ও বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ পাঁচজনকে নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর চার থানায় হওয়া পৃথক মামলায় বুধবার তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রেপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান তাদের এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখান। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এসব মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া অন্যরা হলেন, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক এমপি ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব জাহাঙ্গীর আলম।
আসামিদের মধ্যে কামাল আহমেদ মজুমদারকে মিরপুর থানার এক মামলায়, ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনকে খিলগাঁও থানার এক মামলায়, সালমান এফ রহমানকে মিরপুর থানার এক মামলায়, আনিসুক হককে মিরপুর ও উত্তরা পূর্ব থানার একটি করে মোট দুইটি মামলায় এবং জাহাঙ্গীর আলমকে লালবাগ থানার এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর আগে বুধবার সকালে তাদের কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ।
গত ১৩ আগস্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলীকে (২৪) হত্যার অভিযোগে করা মামলায় পরের দিন ১৪ আগস্ট তাদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ।এ ছাড়া রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে কামাল আহমেদ মজুমদারকে গত ১৮ অক্টোবর দিনগত রাতে গ্রেপ্তার করে কাফরুল থানা পুলিশ। ১৯ অক্টোবর তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।গত ২১ অক্টোবর রাতে মিরপুর-৬ এলাকা থেকে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যুবদল নেতা ও মিরপুরের বাঙালিয়ানা ভোজের সহকারী বাবুর্চি হৃদয় মিয়াকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় গত ২২ অক্টোবর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন তার এ মামলায় পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ