সমুদ্রপথে বিদেশ থেকে এলপিজি পরিবহনকারী মাদার ভেসেল, বাংলাদেশের পতাকাবাহী বসুন্ধরা এলপিজি চ্যালেঞ্জার মাত্র দুই বছরে শততম শিপ টু শিপ স্থানান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। এলপিজি পরিবহন এবং জাহাজ থেকে জাহাজে স্থানান্তর কার্যক্রম অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
এই ঝুঁকিপূর্ণ কাজটিই আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে দুই বছরে শতবার সুসম্পন্ন করার গৌরব অর্জন করল বসুন্ধরা গ্রুপ। চলতি বছরের শুরুর দিকে এই গৌরব অর্জনের পর এখন নতুন মাইলফলক স্পর্শের দিকে এগোচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
নতুন স্বপ্ন ছোঁয়ার লক্ষ্যে গত সোমবার বসুন্ধরা এলপিজি চ্যালেঞ্জার (মাদার ভেসেল) পরিদর্শনে যান বসুন্ধরা গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এতে নেতৃত্ব দেন বসুন্ধরা গ্রুপের শিপিং ইউনিটের প্রধান ক্যাপ্টেন রুহুল আমিন (সিওও, শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকস, সেক্টর-এ, বসুন্ধরা গ্রুপ)।
একই সঙ্গে গভীর সমুদ্রে ঝুঁকি মোকাবেলা করে জাহাজ থেকে জাহাজে গ্যাস স্থানান্তর কার্যক্রম পরিদর্শনে যান সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর এ জেড এম জালালউদ্দিন, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের মহাব্যবস্থাপকের একান্ত সচিব রাশেদুল আলমসহ ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেল, ২২৭ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৩৬ মিটার প্রস্থের বিশাল জাহাজটি নীল জলরাশির ঢেউয়ের তালে তালে নৃত্য করছে। পাশেই আগলে রেখেছে বিএলপিজি সোফিয়াকে। বিএলপিজি চ্যালেঞ্জার বিদেশ থেকে এলপিজি পরিবহন করে আনে প্রায় ৮২ হাজার ঘনমিটার।
সেখান থেকেই বিএলপিজি সোফিয়ায় পাইপের মাধ্যমে এলপিজি স্থানান্তর করছে সাত হাজার ঘনমিটার। সমুদ্রের স্রোত ও তর্জনগর্জনের মধ্যে শিপ টু শিপ গ্যাস স্থানান্তর একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। সামান্য ভুলেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এমন ঝুঁকিপূর্ণ কাজটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিধি মেনে সম্পন্ন করেন দুই জাহাজের কর্মীরা।
বসুন্ধরা এলপিজি চ্যালেঞ্জারের ক্যাপ্টেন ভিটালি সাইহোরোদস্কি বসুন্ধরার কর্মকর্তাদের ঘুরিয়ে দেখালেন পুরো জাহাজ। পরিদর্শন শেষে ক্যাপ্টেন রুহুল আমিন বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে বাংলাদেশ সর্বপ্রথম ও সর্ববৃহৎ এলপিজি পরিবহনকারী জাহাজ পেয়েছে।
’ পরিদর্শকদলে ছিলেন ক্যাপ্টেন শেখ এহসান রেজা (চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার, সেক্টর-এ, বসুন্ধরা গ্রুপ), এম এম জসিম উদ্দিন (সিওও, ব্র্যান্ড অ্যান্ড মার্কেটিং, সেক্টর-এ, বসুন্ধরা গ্রুপ), মো. জাকারিয়া জালাল (হেড অব সেলস, বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লি.) প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ