ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বিশ্বাস, রাশিয়ার আগ্রাসন বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কার্যকর ভূমিকার রাখবেন। তিনি আশাবাদী, তার দেশকে আগের মত সব ধরনের সহায়তা করে যাবে আমেরিকা। মঙ্গলবার নতুন বছর উপলক্ষ্যে প্রকাশ করা এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন জেলেনেস্কি।
প্রকাশিত ২১ মিনিটের ভিডিওতে জেলেনস্কি বলেছেন, নবনির্বাচিত ট্রাম্পের সাহায্যে তিনি বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন। একই সাথে ৩৪ মাস ধরে চলা নিজ দেশে রাশিয়ার আক্রমণও থামাতে পারবেন। তিনি এ সময় ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়াকে ‘পাগলা’ রাষ্ট্র বলে উল্লেখ করেন।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে জেলেনেস্কি বলেন, ‘শান্তি আমাদের জন্য উপহার হিসেবে আসবে না। রাশিয়ার আগ্রাসন ও যুদ্ধ থামাতে আমাদের সম্ভাব্য সব কিছু করতে হবে। যা প্রায় সবার চাওয়া।’
ভিডিওতে তিনি আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশংসা করেন।
জেলনেস্কি বিশ্বাস করেন, রাশিয়ার আগ্রাসন থামিয়ে বিশ্বে শান্তি আনতে বড় পদক্ষেপ নেবেন ট্রাম্প।
ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নাই আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্টও আমাদের চাওয়া বুঝবে এবং বিশ্বে শান্তি আনবে। পুতিনের আগ্রাসনও থামিয়ে দিতে তারা হেল্প করবে। এটা পুরোপুরি জনগণ নিয়ন্ত্রিত একটি রাষ্ট্রের ওপর পাগলা একটি রাষ্ট্রের আগ্রাসন। আমি বিশ্বাস করি, আমেরিকার সাথে মিলে আমরা রাশিয়ার বাহিনী থামিয়ে শান্তি আনতে পারব।’
এর আগে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছিলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী ট্রাম্প ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের পর রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ অতি দ্রুত শেষ করবেন। নির্বাচন শেষে তিনি টেলিফোনে ট্রাম্পের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও করেছিলেন।
কদিন আগে আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাইডেন ঘোষণা করেন, তার প্রশাসন ইউক্রেনে প্রায় ২.৫ বিলিয়ন বা ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের সামরিক সহায়তা পাঠাবে। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগামী জানুয়ারিতেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে নেবেন এবং এর আগেই ইউরোপের যুদ্ধ-বিধ্বস্ত এই দেশটিতে সহায়তা পাঠাতে ব্যাপক উদ্যোগী হয়েছেন বাইডেন।
এদিকে নতুন বছরের প্রথম দিনেই ইউক্রেনে ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। কিয়েভে বুধবারের হামলায় অন্তত তিনজন আহত ও দুটি জেলার একাধিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। তখন থেকেই যুদ্ধের সম্মুখ সারির অনেক পেছনে বেসামরিক শহরেও বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ক্রেমলিন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস