বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের ভিপি পদপ্রার্থী রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেছেন, ‘নতুন করে ভোটের কথা বলা হাস্যকর।’ তিনি আরো বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।’
আজ সোমবার মধুর ক্যান্টিনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ছাত্রলীগ নেতা শোভন। ডাকসু নির্বাচন ছাত্রলীগ ছাড়া অন্যসব সংগঠন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। ওইসব সংগঠন নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় করার দাবি জানিয়েছে।
রেজওয়ানুল হক বলেন, ‘কুয়েত মৈত্রী হলে যে ব্যালট পাওয়া গেছে সেই ব্যালটের সাথে হলের ব্যালটের মিল নাই। প্রভোস্টের সাইনেরও খোলা ব্যালটের মিল নেই। দীর্ঘ ২৮ বছর পর যে নির্বাচন হচ্ছে সেটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য একটি মহল এ কাজটি করেছে।’
ভোট বাতিল প্রসঙ্গে রেজওয়ানুল বলেন, ‘সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। মাত্র দুইটি হলে ঘটনা ঘটেছে। রোকেয়া হলে ভোটকেন্দ্রে হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘গতকাল সব সংগঠন একত্রিত হয়ে কাজটি করবে তা অনুমান করতে পেরেছিলাম। তারই ফলশ্রুতিতে আজকের এ ঘটনা।’
ডাকসুর জি এস প্রার্থী ছাত্রলীগের গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘আমরা চেয়েছি শতভাগ ভোট কাস্ট হোক। প্রতিটি হলে পর্যাপ্ত বুথের কথা আমরা বলেছিলাম। সেটা হয়েছেও।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আন্তরিক, যেন সবাই ভোট দিতে পারে।’
রাব্বানী বলেন, ‘সবাই দেখেছে রোকেয়া হলে কীভাবে দরজা ভেঙে শিক্ষককে লাঞ্ছিত করে কীভাবে নিয়ে এসেছে ব্যালট।’
কুয়েত-মৈত্রী হলে পাওয়া ব্যালট প্রসঙ্গে রাব্বানী বলেন, ‘ওইটা ভুয়া ব্যালট। অরিজিনাল ব্যালটের সাথে মিল নেই। ক্রসেরও মিল নেই। ষড়যন্ত্রেরই একটা অংশ। নাটকটি সুন্দর করে মঞ্চস্থ করা হয়েছিল। শিক্ষার্থীদের দ্বারা গণ প্রত্যাখ্যানের আন্দাজ করতে পেরে লজ্জার হাত থেকে বাঁচার জন্য সেফ এক্সিট খুঁজছিল তারা।’
রাব্বানী বলেন, ‘অবশ্যই ভোট সুষ্ঠু হয়েছে মনে করছি। ছাত্রলীগকে ঠেকানোর জন্য সবাই এক হবে, এটা সহজেই অনুমেয়।’ তিনি বলেন, ‘রোকেয়া হলে সবাই লাইন ধরে ভোট দিচ্ছিল। যখন দেখল ছাত্রলীগের স্লিপ সবাই ভালোবেসে গ্রহণ করছে এটা দেখেই তারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে তারা এ ধরনের একটি অপ্রীতিকর ঘটনার জন্ম দিয়েছে।’
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ