বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: জিম্বাবোয়ে সফরে যাওয়ার আগে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ওয়ান ডে ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে মন্তব্যটায় খুব হইচই হচ্ছে। ধোনি বলেছে ওর ওয়ান ডে ক্যাপ্টেন থাকা উচিত কি না সেটা বোর্ডের ব্যাপার। ঠিকই, এটা বিসিসিআই এবং নির্বাচকদের ব্যাপার। ওদেরই ঠিক করতে হবে ধোনিকে আর সীমিত ওভারের ফর্ম্যাটে ক্যাপ্টেন রাখা হবে কি না। আমার কাছে অবশ্য উত্তরটা খুব সোজা। ধোনিকে ক্যাপ্টেন্সি থেকে সরিয়ে বিরাট কোহালিকে এখনই দায়িত্ব দেওয়া হোক।
ধোনি খুব ভাল অধিনায়কত্ব করেছে এতদিন। দেশকে অনেক সাফল্যও দিয়েছে। সব মানলাম। কিন্তু সে সব অতীত। ক্যাপ্টেন হিসেবে ধোনির থেকে এখন আর কিছু পাওয়ার নেই। আমাদের সামনে তাকিয়ে এগোতে হবে। ২০১৯-এ পরের বিশ্বকাপ। তিন বছর বাদে ধোনির বয়স হবে ৩৮। আইপিএল, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চাপ সামলে ততদিন ধোনি নিজের ফিটনেস ধরে রাখতে পারবে কি না, সেটাও একটা বড় প্রশ্ন।
তাই আমার মতে এখনই বিরাটকে টেস্টের মতো ওয়ান ডে ক্যাপ্টেনের দায়িত্বও দেওয়া উচিত। বিরাট খুব পজিটিভ ক্রিকেটার, নেতাও। বিশ্বকাপের জন্য ওকে এখন থেকেই ওয়ান ডে ক্যাপ্টেনের জার্সিতে তৈরি হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। তা ছাড়া যত দিন যাবে ধোনির চমকে দেওয়ার ক্ষমতা ততই কমবে। গত ৮-৯ বছরে ওর ক্যাপ্টেন্সি দেখে সবাই এখন জানে কী কী হতে পারে। ওর ফাটকাগুলো আর খাটছে না। কিছুটা গোঁয়ার্তুমিও দেখতে পাচ্ছি ওর অধিনায়কত্বে। যার জন্য আইপিএলে ভুগতে হল। বোলিং বা ব্যাটিং অর্ডারে নতুন কিছু চমকও পাওয়া যাচ্ছে না— যেটা টিমের কাজে লাগতে পারে। ধোনির চমক দেওয়ার এখন আর কিছু নেই। সেটা ২০১৫ বিশ্বকাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং সবার শেষে আইপিএলেও দেখেছি আমরা। ধোনি কিন্তু সবেতেই ব্যর্থ।
তাই কেন এখন থেকেই বিরাটের উপর বাজি ধরা হবে না? এক জন নতুন ক্যাপ্টেন মানেই কিন্তু দলে নতুন আইডিয়া, নতুন চিন্তাধারা আনা। যেটা সামনে রেখে ২০১৯ বিশ্বকাপের জন্য ভারত এখন থেকেই তৈরি হতে পারবে। তা ছাড়া বিরাটের মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার সহজাত ক্ষমতা আছে। খুব তাড়াতাড়ি নিজেকে পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। মাঠে ওর উপস্থিতি সব সময় বোঝা যায়। এমন ক্যাপ্টেনের জন্যই তো জান লড়িয়ে দেয় ক্রিকেটাররা। তাই বলছি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে ক্যাপ্টেনের মুকুটটা তুলে দেওয়া হোক বিরাটের মাথায়।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস