বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
বিশ্বে ৮ শিশু ও তরুণীর মধ্যে একজন ধর্ষণ-যৌনহয়রানির শিকার এটিএম থেকে বিকাশে রেমিটেন্স ক্যাশ আউট ৭ টাকায় বগুড়ায় বিলের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪০০ পরিবারকে অর্থ সহায়তা দিলো জামায়াত মমতাজসহ ৯০ জনের নামে হত্যা মামলা একসঙ্গে ৫ নারী বিচারপতি নিয়োগ দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে নতুন ইতিহাস সাহিত্যে নোবেল পেলেন দক্ষিণ কোরিয়ার হান ক্যাং নির্বাচনমুখী সংস্কারগুলো আগে বাস্তবায়ন করতে হবে: সালাহউদ্দিন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র কারাগারে লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন ১৫০ বাংলাদেশি রাশিয়ায় এবার বিমানঘাঁটিতে হামলা, এখনো জ্বলছে তেল টার্মিনালের আগুন ২৪ ঘণ্টায় সাবের হোসেন কীভাবে মুক্তি পেলেন: প্রশ্ন রিজভীর রাজনগরে ২৩১ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার, আটক ১ হারুনের দেশত্যাগ নিয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের নামে মাহমুদুর রহমানের মামলা ডিম-পেঁয়াজ-আলুর দাম কিছুটা কমেছে: বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক মাদরাসার ভেতরে, ১৪ শিক্ষার্থী আহত দুই কোটির ব্যবসায় ১৫১ কোটি টাকা ঋণ, এস আলমের মাসুদের ঘাড়ে দায় গোলান মালভূমিতে হিজবুল্লাহ সদস্যকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের ৩৬৫ দিন নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ধামরাইয়ে ইউএনও’র নির্দেশেও বন্ধ হয়নি অবৈধ ইটভাটা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,(ধামরাই)প্রতিনিধি: ঢাকার ধামরাইয়ে ইউএনও’র নির্দেশেও বন্ধ হয়নি ঘনবসতিপূর্ণ মারুমডালি গ্রামে নির্মিত সেই অবৈধ ইউনিভারসাল নামের ইটভাটা। জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স ছাড়া ও ফসলি জমির মাটি নিয়ে ইট পোড়ানোর অভিযোগে গত মঙ্গলবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ধামরাইয়ের ইউএনও মোহাম্মদ সামিউল হক ওই অটো ইটভাটাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন এবং জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় ভাটার কর্মচারী লোকেশ চন্দ্র সরকারকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই সঙ্গে ইটভাটাটি বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেন। কিন্তু গতকাল রবিবার পর্যন্তও ভাটাটি বন্ধ রাখা হয়নি। এদিকে জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় সাধারণ এক কর্মচারী জেল হাজতে রয়েছে। আর তার স্বজনরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

সরেজমিনে গিয়ে ভাটায় কর্মরত কর্মচারী ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা গেছে, ২০০৪ সালে ধামরাইয়ের ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের মারুমডালি গ্রামের ঘনবসতি এলাকায় ১০-১২ জন কৃষকের জমি ভাড়া নিয়ে ইউনির্ভাসাল নামে একটি অটো ব্রিকফিল্ড নির্মাণ করা হয়। প্রথমে সুনজি নামের এক চায়না নাগরিকের নামে পরিচালিত হয় ইটভাটাটি। তিনি পাঁচ বছর পরিচালনা করে গেছেন। এখন বর্তমানে কে পরিচালনা করছেন সঠিকভাবে বলতে পারছেন না কেউ। অনেকে বলছেন, স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি এটা পরিচালনা করছেন। আবার কেউ বলছেন আমেরিকান এক প্রবাসী এটা দেখভাল করছেন। সরেজমিনে গিয়েও একই তথ্য পাওয়া গেছে ভাটায় কর্মরত কর্মচারী ও যারা ভাটায় কাজ করছেন তাদের কাছ থেকে। যারা ভাটায় মাটি সরবাহ করছেন তারাই নাকি এটি পরিচালনা করছেন। এছাড়া জমির মালিকদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও তাদের সাথে চুক্তি না করেই এক রকম জোরপূর্বক ভাটা পরিচালনা করছে প্রভাবশালীরা। তবে জমির মালিকদের সঙ্গে ভাটার মালিক হিসেবে কে চুক্তি করবে এ নিয়েও রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ভাটায় ভাড়া দেওয়া জমির মালিকরাও ভোগান্তিতে পড়ছেন।

নাছির উদ্দিন নামের এক প্রভাবশালী জানান, ভাটায় তার ৬০ লাখ টাকার মাটি দেওয়া আছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রও নাকি তিনিই করে এনে দিয়েছেন বলে জানান। ইটভাটা পরিচালনার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরাই দেখাশুনা করি।

সাইদুর রহমান রিপনসহ কয়েকজন জানান, ভাটায় তাদের কয়েক বিঘা জমি লিজ দেওয়া হয়েছে। লিজের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এখন কেউ নতুন করে চুক্তি করছে না আবার জমিও ছেড়ে দিচ্ছেন না।

এ ব্যাপারে ইটভাটার ম্যানেজার কবির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ১০ বছর ধরে ওই ভাটায় কর্মরত শহিদুল ইসলাম বলেন, গত দশ বছরে পরিবেশ অধিদপ্তরের কত কর্মকর্তাই তো এই ভাটায় আসলো আর গেল, কিন্তু তারা কিছুই করতে পারেনি।

স্থানীয় আব্দুল হক জানান, লোকালয়ে ইটভাটা নির্মাণের ফলে বায়ু দূষণসহ এলাকার রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। ভাটাটি বন্ধ করার জন্য সম্প্রতি এলাকাবাসীর স্বাক্ষর নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলার উপ পরিচালক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল হক ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করেন ওই ভাটায়। সেখানে ভাটার কর্মচারি লোকেশ চন্দ্র সরকারকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স না থাকায় ও অন্যান্য বিষয়ে ভাটাটি অবৈধ বলে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এদিকে জরিমানার টাকা কে পরিশোধ করবে এ নিয়ে চলে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব। জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় ভাটার আটক কর্মচারি সিলেটের লোকেশ চন্দ্র সরকারকে এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন ইউএনও। একই সঙ্গে ভাটাটি বন্ধের নির্দেশ দেন। কিন্তু গতকাল পর্যন্তও ভাটাটি বন্ধ করা হয়নি। মালিকানা দ্বন্দ্বের জেরে সাধারণ এক কর্মচারি জেল হাজতে রয়েছে। আর ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন লোকেশ চন্দ্রের পরিবার।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল হক বলেন, ‘জরিমানা আদায়ের জন্য তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করেছিলাম। কিন্তু কেউ যোগাযোগ করেনি। ফলে আটক ব্যক্তিকেই জেল দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স না থাকায় ভাটাটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরপরও বন্ধ না করা হলে আবার অভিযান চালিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলা৭১নিউজ/এফআর

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com