নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্তে দুই বাংলার মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এপার বাংলা, ওপার বাংলার হাজারো মানুষ স্বজনকে কাছে পেয়ে আনন্দে ভেসে পড়েন। রোববার (১৭ জানুয়ারি) বিকাল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী এই মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়।
১৪ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ আগ্রাদ্বিগুণ বিওপি’র পিলার ২৫৬/৯-এস হতে আনুমানিক ১০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে মাজার সংলগ্ন কাউটিপাড়া গ্রামের আদিবাসী এবং পার্শ্ববর্তী ভারত থেকে আগত সীমান্তবর্তী জনসাধারণ ও ভারতের সীমান্তবর্তী জনসাধারণের মধ্যে এ মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়।
মিলনমেলায় বিএসএফ তাদের কাঁটাতারের দরজা খুলে দেয় এবং ভারতের শত শত মানুষ তাদের নাগরিকত্ব আধার কার্ড দেখিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। বিকাল ৪টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দুই বাংলার কয়েক শত লোকের সমাগম ঘটে সেখানে। অল্প সময়ের জন্য হলেও বিভিন্ন যায়গা থেকে মানুষ মাইক্রো, ব্যক্তিগত গাড়ি, ভটভটি ও ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন। ভারতের লোকজন বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারলেও এই বাংলার কেউ ভারতে প্রবেশ করতে পারেনি।
দুই বাংলার লোকজন তাদের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাতের সময় বিভিন্ন ধরনের উপহারসামগ্রী আদান-প্রদান করে থাকেন। মিলন মেলা উপলক্ষে সীমান্তের কাঁটাতারের কাছে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীর পসরা বসে এবং কেনাবেচা হয়।
১৪ ব্যাটালিয়নের আগ্রাদ্বিগুণ বিওপির কোম্পানি কমান্ডার নুরুল আমিন বলেন, করোনার কারণে মাত্র ১ ঘণ্টার জন্য হলেও দুই বাংলার লোকজনকে স্বল্পপরিসরে দেখা-সাক্ষাতের নির্দেশনা দেয়া হয়ছে। এখানে নিরাপত্তা জোরদার রাখা হয়েছিল, যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে এ মিলনমেলা শেষ হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এআর