বাংলা৭১নিউজ,(সিলেট)প্রতিনিধি: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ধলাই নদীতে ডুবে পৃথক তিনটি ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটির ছাত্রসহ আরও দুই শিশু। নিখোঁজদের উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দমকল বাহিনীর সদস্যরা।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার টুকেরবাজার-রাজনগর নতুন বাজার খেয়াঘাটে নৌকা ডুবে দুই শিশু নিখোঁজ হয়। বেলা ১টার দিকে সাদাপাথর এলাকায় সাঁতার কাটতে গিয়ে স্রোতে তলিয়ে যায় লিডিং ইউনিভার্সিটির ছাত্র। এর আগে রোববার ভোরে ধলাই নদীর রাজনগরে বালুবোঝাই নৌকা ডুবে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, রোববার ভোরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদীতে বালুবোঝাই একটি নৌকা ডুবে যায়। এতে পানিতে ডুবে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ভাতেরটেক গ্রামের মৃত আবু তাহের মিয়ার ছেলে নাঈম হোসেন (১৮) ও একই গ্রামের আবু সামা মিয়ার ছেলে জমির হোসেন নামের দুই শ্রমিক মারা যান।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ধলাই নদীর টুকেরবাজার-রাগ নগর নতুন বাজার খেয়া ঘাটের একটি খেয়া নৌকা ডুবে যায়। এতে দুই শিশু নিখোঁজ হয়। তাদের পরিচয় এখনো জানাতে পারেনি প্রশাসন। নিখোঁজের ছয় ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও বিকেল ৫টা পর্যন্ত তাদের উদ্ধার করা যায়নি। তারা মারা গেছে বলে জানিয়েছেন দমকল বাহিনীর সদস্যরা।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত রাজনগর গ্রামের আব্দুল বাছিরের স্ত্রী জাহেনা বেগম কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অন্যদিকে, বেলা ১টার উপজেলার ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর বেড়াতে গিয়ে ধলাই নদীতে নিখোঁজ হয়েছেন লিডিং ইউনিভার্সিটির এক ছাত্র। তিনি সিলেট মহানগরের এয়ারপোর্ট থানার মুগলীরপার চকিদেখি এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে হাসানুর রহমান আবির। তাকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উদ্ধার করতে পারেননি দমকল বাহিনীর সদস্যরা। নিখোঁজদের উদ্ধারের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা।
জানা যায়, কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে রোববার সাদাপাথর পর্যটন এলাকায় বেড়াতে যান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আবির। এ সময় তিনি সাঁতার কাটতে নেমে ধলাই নদীর তীব্র স্রোতে তলিয়ে যান। আবির লিডিং ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, নদীতে নৌকা চলাচল বন্ধ রেখে উদ্ধারকাজ চলানো হচ্ছে। টুকেরবাজার ও সাদাপাথরে নিখোঁজদের উদ্ধারে চেষ্টা চলছে। দমকল বাহিনীর নিখোঁজদের উদ্ধার করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে তাদের উদ্ধারের সম্ভাবনা নেই।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বিজন ব্যানার্জি বলেন, নিখোঁজদের উদ্ধোরে বিভিন্ন সংস্থার ডুবুরির পাশাপশি স্থানীয় ডুবুরিরা কাজ করছেন। উদ্ধারকাজের জন্য নদীতে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসআর