দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে সরকারকে বাধ্য করতে প্রয়োজনে ঈদের পর আন্দোলন করার কথা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। আর তাতে সায় দিয়ে দলটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, আমাদের দায়িত্ব সরকারকে বাধ্য করা এগুলো (দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ) করার জন্য। আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে, জনগণের পাশে দাঁড়াতে না পারলে, জনগণের কোনো সমর্থন পাওয়া যাবে না।
রোববার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় মিরপুর ১২ নম্বরে জাতীয় পার্টি ঢাকা উত্তরের আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে জাপা নেতারা এসব কথা বলেন।
চুন্নু বলেন, সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা সরকারের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ রমজানে যাতে দিনানিপাত করতে পারে সেই ব্যবস্থা করে দেন।
তিনি বলেন, আপনাদের প্রতারণামূলক কথা মানুষ আর বিশ্বাস করে না। এই সরকার যদি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে না আনতে পারে, তাহলে চেয়ারম্যানকে বলবো ঈদের পরে মানুষের পক্ষে আন্দোলন করা প্রয়োজন। মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে এসবের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধাচরণ করে সরকারকে বাধ্য করা উচিত, যাতে সরকার জিনিসপত্রের দাম কমায়।
এ সময় জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, সরকারের অনেক ধরনের আশ্বাস আমরা শুনেছি। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা নিয়ে অনেক বড় বড় কথা শুনেছি। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নেই, সাধারণ মানুষের নামে দলীয় কিছু নেতাকর্মীকে সুযোগসুবিধা দেওয়া হচ্ছে। গুটিকয়েক মানুষকে সুযোগসুবিধা দেওয়া হচ্ছে। সামাজিক ন্যায়বিচার বঞ্চিত মানুষের পাশে আমাদের দাঁড়াতে হবে। জনগণের ভালো দেখা আমাদের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, সরকারের দায়িত্ব ছিল এগুলো করা, ওনারা তা করতে পারছেন না। আমাদের দায়িত্ব সরকারকে বাধ্য করা এগুলো করার জন্য। আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে, জনগণের পাশে দাঁড়াতে না পারলে জনগণের কোনো সমর্থন পাওয়া যাবে না। সংগঠন করতে হলে জনসমর্থন দরকার। জনসমর্থনের জন্য সেই রাজনীতি দরকার যেটা জনগণ চায়। সেই রাজনীতি করার প্রস্তুতি নিতে হবে।
দেশে অর্থনৈতিক সংকট চলছে উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, সরকারের কাজকর্ম ও খরচাখরচ দেখে মনে হয় না দেশের মানুষ কষ্টে আছে। ধুমধাম চলছে সবখানে। সরকারি কর্মকাণ্ডে চাকচিক্য চলছে। সাধারণ মানুষকে কষ্ট দিয়ে, সাধারণ মানুষের টাকায় এগুলো করা হচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ