দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ হলেন সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল হক। ৭ বলে মাত্র ১ রান করে ফেরত যান ওপেনার সাদমান। এরপর ৩ বলে ০ রানে আউট হয়ে যান মুমিনুল হক। দুই বাঁহাতিকেই ফেরান দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসো রাবাদা। তৃতীয় ওভারের প্রথম ও শেষ বলে তাদেরকে সাজঘরের পথ দেখান ডানহাতি প্রোটিয়া পেসার।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ডাক (৪ বলে ০) মেরেছিলেন সাদমান। মুমিনুল আউট হয়েছিলেন ৪ রানে।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ ওভারের খেলা শেষে ২ উইকেটে ৯ রান। মাহমুদুল হাসান জয় ৩ আর নাজমুল হোসেন শান্ত অপরাজিত আছেন ৪ রানে।
২০২ রানের লিডের বোঝা মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৪ রানে দুটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। অন্যদিকে কাইল ভেরেইনার দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৩০৮ রান করে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
আজ মঙ্গলবার ৬ উইকেটে ১৪০ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এ সময় তাদের লিড ছিল ৩৪ রানের।
সপ্তম উইকেটের জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ব্যাটার কাইল ভেরেইনে ও উইয়ান মুলদার। কিছুতেই কিছু হচ্ছিলো না। দুই স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও নাইম হাসান চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। অবশেষে তাদের ১১৬ রানের জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ। শুধু জুটি ভাঙাই নয়, দুই বলে দুই উইকেট তুলে নেন টাইগার পেসার।
৬৫তম ওভারের পঞ্চম বলে ফিফটি হাঁকানো মুলদারকে স্লিপে সাদমান ইসলামের হাতের ক্যাচ বানান হাসান। ডানহাতি টাইগার পেসারের বলে আউট হওয়ার আগে ১১২ বলে ৫৪ রান করেন মুলদার। পরের বলেই নতুন ব্যাটার কেশব মহারাজকে (১ বলে ০) বোল্ড করেন হাসান।
নতুন ওভারের প্রথম বলে নতুন ব্যাটার ডেন পিডট স্ট্রাইকে থাকায় হ্যাটট্রিকের সুযোগ ছিল হাসানের। তবে সেটা আর হয়নি।
নবম উইকেটে আরও একটি জুটি করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই জুটিতে ৬৬ রান তোলেন ভেরেইনে ও ডেন পিডট। ৮৭ বলে ৩২ রান করা পিডটকে এলব্ডিব্লিউ করে জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার আগেই সেঞ্চুরি করেন ভেরেইনা।
শেষদিকে বিধ্বংসী ব্যাটিং করে লিড ২০০ পার করেন ভেরেইনা। অবশেষে ১৪৪ বলে ১১৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে মিরাজের বলে স্টাম্পড হন ডানহাতি প্রোটিয়া ব্যাটার। ২ রানে অপরাজিত ছিলেন কাগিসো রাবাদা।
মূলত, দক্ষিণ আফ্রিকার সপ্তম ও নবম উইকেটের জুটিতে পাল্টে যায় মিরপুর টেস্টের দৃশ্যপট। এই দু্ই জুটির কল্যাণেই দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩০৮ রান।
বাংলাদেশের হয়ে ১২২ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। ৩ উইকেট নেন হাসান মাহমুদ ও ২টি উইকেট শিকার করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ