বাংলা৭১নিউজ, নজরুল ইসলাম, রাজবাড়ী প্রতিনিধি: দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ঘন কুয়াশার কারণে টানা ১৩ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়। এতে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে মহাসড়কের প্রায় ৮কিঃমিঃ বিভিন্ন প্রকার যানবাহনের সারি হয়েছে। এ সময় মাঝ নদীতে ১১টি ফেরি যানবাহন নিয়ে সারারাত নোঙর করে ছিল।
শুক্রবার সকালে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট গিয়ে জানা যায়, ঘন কুয়াশার কারণে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি সহ সকল প্রকার নৌযান চলাচল বন্ধ করা হয়। সকাল সাড়ে ১১টায় কুয়াশার ঘনত্ব কুমে আসায় পুনরায় দৌলতদিযা-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি সহ সকল প্রকার নৌযান চলাচল শুরু করা হয়।
এদিকে সময় মত ফেরি পার হতে না পেরে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে মহাসড়কের প্রায় ৮কিঃমিঃ প্রাইভেকার, মাক্রোবাস, এ্যাম্বুলেন্স, কাঁচামালবাহী ট্রাক, মাছবাহী ট্রাক, পন্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী শতশত বাস ফেরি পারের অপেক্ষায় রয়েছে। এতে মহাসড়কের প্রায় ৮কিঃমিঃ বিভিন্ন প্রকার যানবাহনের একাধিক সারি হয়েছে।
টানা ১৩ ঘণ্টা ফেরি পারের অপেক্ষায় থেকে সাধারন যাত্রী ও যানবাহনের চালকদের শীতের মধ্যে সারারাত দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। নারী, শিশু ও বৃন্ধ মানুষের দুর্ভোগ হয়েছে দ্বিগুন। মহাসড়কে কোন খাবার হোটেল না থাকায় দ্বিগুন দামে খোলা খাবার কেনে খেতে হচ্ছে। পাবলিট টয়লেট না থাকায় নারী যাত্রীদের দুর্ভোগ হচ্ছে।
যাত্রীবাহী বাস হানিফ পরিবহনের যাত্রী সুলতানা বেগম বলেন, রাত সাড়ে ৮টার সময় দৌলতদিয়া ঘাটে এসেছি। রাত সাড়ে ১০টায় ফেরি বন্ধ হওয়ায় সারারাত শিশু বাচ্চা নিয়ে গাড়ীর মধ্যেই রাত কাঁটাতে হয়েছে। সকাল ৯টা বাজলেও ঘন কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। কখন ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে তাও জানি না।
প্রিয়া নামে এক শিশু যাত্রী বলেন, বেনাপোল থেকে সন্ধ্যার সময় গাড়ী ছেড়েছে। আমরা ঢাকায় যাবো। বাসায় গিয়ে সবার সাথে আনন্দ করবো। কিন্ত কুয়াশার কারণে ফেরি বন্ধ থাকায় সারারাত কষ্ট করে গাড়ীর মধ্যে থাকতে হয়েছে। ঘাটে আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। ভাল খাবার নেই। টয়লেট নেই। যে কারণে আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে।
সাকুরা পরিবহনের চালক জনি সরদার বলেন, বরিশাল থেকে বিকেলে ঢাকায় যাওয়ার উদ্দ্যেশে ছেড়েছি। কিন্ত ফেরি বন্ধ হওয়ায় ফেরি ঘাটেই রাত শেষ হয়ে গেল। ফেরি ছাড়বে কখন তাও আমরা জানি না। টানা ১২/১৩ ঘণ্টা ফেরি বন্ধ থাকায় গাড়ীতে থাকা যাত্রীদের সারারাত চরম কষ্ট শিকার করতে হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস