শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
মালয়েশিয়ায় ১৩২ বাংলাদেশি গ্রেফতার ডুমুরিয়ায় অস্তিত্ব সংকটে ৭ নদী জাপানে শক্তিশালী ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্প রাস্তা পারাপারের সময় দ্রুত গতির বাসচাপায় নারী নিহত রোববার থেকে ফের তিনদিনের হিট অ্যালার্ট জারি হতে পারে দাবদাহে ঢাকায় উৎপাদনশীল খাতে বছরে ক্ষতি ২৭০০ কোটি ডলার ঘুমন্ত হেলপারকে পুড়িয়ে হত্যা: একজনের দায় স্বীকার, দুজনের রিমান্ড ভারতীয় মসলায় ক্যানসারের উপাদান: তথ্য সংগ্রহ করছে যুক্তরাষ্ট্র দেশে আলাদা ফরেনসিক বিশ্ববিদ্যালয় এখন সময়ের দাবি : সিআইডি প্রধান গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছে ২৯ প্রতিষ্ঠান নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক ৩ মাসে গ্রামীণফোনের আয় ৩৯৩২ কোটি টাকা, গ্রাহক বেড়েছে ১০ লাখ পাঁচদিনে সোনার দাম কমলো ৬৪৯৭ টাকা প্রবাসীদের বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান প্রতিমন্ত্রীর ঢাকায় দিনে-দুপুরে জুয়েলারি ব্যবসায়ীর সর্বস্ব লুট বনানীতে যাত্রীবাহী বাসে হঠাৎ আগুন হাসপাতালে ডাক্তার না থাকায় অনেককে শোকজ করা হয়েছে বরিশালে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের প্রভাবিত করতেন তারা

দোষী সাব্যস্ত হলে খালেদা জিয়ার কেমন সাজা হতে পারে!

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
  • ১২৯ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: ৮ ফেব্রুয়ারি এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। এদিন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন আদালত। সারা বিশ্বের দৃষ্টি এখন বিশেষ আদালতের দিকে। কী রায় হতে পারে ওইদিন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কী সসম্মানে খালাস পাবেন, নাকি দোষী সাব্যস্ত হবেন। দোষী সাব্যস্ত হলে কী সাজা হবে তার?

খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলছেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি এ মামলায় সসম্মানে খালাস পাবেন।

অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী বলছেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪০৯ ও ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। মামলায় খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড আশা করছেন তারা।

মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪০৯ ও ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। সাক্ষী দিয়েছেন ৩২ জন।

আইন অনুযায়ী যদি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হয় তাহলে আদালতে তাকে সসম্মানে খালাস প্রদান করবেন।

যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়ে তাহলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন থেকে যে কোনো মেয়াদের কারাদণ্ড দিতে পারেন আদালত। অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করতে পারেন।

দণ্ডবিধি ৪০৯ ধারা

দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারা (যাবজ্জীবন অথবা দশ বছরের কারাদণ্ড)। সরকারি কর্মচারী কর্তৃক অথবা ব্যাংকার, ব্যবসায়ী বা প্রতিনিধি কর্তৃক অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ (Criminal Breach of Trust bu public servant, or by banker, merchant or agent) : কোনো ব্যক্তি যদি সরকারি কর্মচারী হিসেবে তার পদমর্যাদা বলে অথবা ব্যাংকার, ব্যবসায়ী, ফ্যাক্টর, দালাল বা প্রতিনিধি হিসেবে ব্যবসা সূত্রে কোনোভাবে কোনো সম্পত্তির জিম্মাদার হয়ে বা ওই সম্পত্তির পরিচালনের ভারপ্রাপ্ত হয়ে সে সম্পত্তি সম্পর্কে অপরাধমূলকভাবে বিশ্বাস ভঙ্গ করে।

এ ধারার শাস্তি : যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা দশ বছর পর্যন্ত যে কোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন, অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।

দণ্ডবিধি ১০৯ ধারা :

দুষ্কর্মে সহায়তা করা হয়েছে, সহায়তার দরুন সে কাজ সম্পাদিত হয়ে থাকলে এবং সেক্ষেত্রে দণ্ডদানের কোনো স্পষ্ট বিধান না থাকলে অনুরূপ সহায়তার সাজা।

দুদক আইনের ৫ (২) ধারা

দুদক আইনের ৫ (২) ধারায় (সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড) ‘কোনো সরকারি কর্মচারী অপরাধমূলক অসদাচরণ সংঘটিত করলে বা উদ্যোগ গ্রহণ করলে সে সাত (০৭) বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডযোগ্য হবে এবং অপরাধমূলক অসদাচরণ সংশ্লিষ্ট অর্থিক সম্পদ অথবা সম্পত্তি ও রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে।’

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আমরা সব ধরনের অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। মামলার রায়ে তার সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দাবি করছি।’

খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে রাষ্ট্রপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে। মামলায় বেগম খালেদা জিয়া খালাস পাবেন।’

গত ২৫ জানুয়ারি রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় একটি মামলা করে দুদক।

২০১০ সালের ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান (পলাতক), মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী (পলাতক) এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান (পলাতক)।

বাংলা৭১নিউজ/বিকেএম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com