বৈষম্যের শিকার মুসলিম নারীদের প্রতি সংহতি জানাতে প্রতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব হিজাব দিবস পালিত হয়। এ বছর দিবসটি স্মরণীয় রাখতে সব সম্প্রদায় ও বর্ণের নারীদের হিজাব পরার আহ্বান জানানো হয়। এবার বিশ্বের ১৫০টির বেশি দেশ এই কর্মসূচীতে অংশ নিতে পারে বলে জানিয়েছে আয়োজক সংগঠন দ্য হিজাব ওয়ার্ল্ড হিজাব ডে (ডাব্লিওএইচডি)। সংগঠনটির পক্ষ থেকে সমাজের পদ্ধতিগত হিজাবভীতির বিরুদ্ধে সংহতি জানাতে সব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, আপনার সমর্থনে কোনো ধরনের ভয়, ভীতি ও দ্বিধা ছাড়াই মুসলিম নারী ও মেয়েরা হিজাব পরার অধিকার পাবে। হিজাব খুলতে বাধ্য হওয়া মুসলিম নারীদের প্রতি সংহতি জানাতে এবং হিজাব নিষিদ্ধ করা দেশগুলোর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মত গড়ে তোলাই দিবসটি পালনের প্রধান লক্ষ্য। সচেতনতা ও শিক্ষার মাধ্যমে মুসলিম নারীদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের বৈষম্য প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এই বছর ক্যাম্পেইনের প্রতিপাদ্য হলো, Progression, Not Oppression বা প্রগতি, নিপীড়ন নয়’ এবং হ্যাশট্যাগ #UnapologeticHijabi।
প্রতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব হিজাব দিবস পালিত হয়। প্রতি বছর দিবস পালনে ২০১৩ সালে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাজমা খান। মানুষকে হিজাবের সঙ্গে পরিচিত করা, নারীদের একদিনের জন্য হিজাব পরতে উৎসাহিত করা এবং মুসলিম নারীরা কেন হিজাবকে বেছে নেন তা তুলে ধরতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। বর্তমানে দিবসটি বিশ্বের প্রায় দেশেই পালিত হচ্ছে।
২০০২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ডাব্লিওএইচডি ১০তম বিশ্ব হিজাব দিবস উদযাপন করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে #DressedNotOppressed লিখে সেলফি পোস্ট করেন বিশ্বের নানা ধর্ম ও বর্ণের নারীরা। সংগঠনটির পক্ষ থেকে এম্বাসেডর হিসেবে হিজাবি নারীদের প্রতি বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মসূচীতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
সূত্র : আরব নিউজ
বাংলা৭১নিউজ/এএন