মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চিপসের প্যাকেট ১, ডাবের খোসা ও দইয়ের পাত্র ২ টাকায় কিনবে ডিএনসিসি সিরাজগঞ্জে গ্যাস লাইনের পাইপ স্থাপনের সময় মাটিচাপা পড়ল শ্রমিক দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর চুয়াডাঙ্গা-যশোরে স্বস্তির বৃষ্টি ১০ মে ঢাকায় সমাবেশ করবে বিএনপি ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রলীগের কর্মসূচি ইলিশের উৎপাদন বেড়ে ৫.৭১ লাখ টন: মন্ত্রী চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী সুন্দরবনে আগুন কেন, গভীরভাবে খতিয়ে দেখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর লোডশেডিং আগের তুলনায় কমেছে, দাবি জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রীর কাছে শপথ নিলেন লালমনিরহাট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বোবা ছেলেকে কুমিরের মুখে ফেললেন নারী ইউক্রেনের কাছে পারমাণবিক মহড়ার নির্দেশ পুতিনের চট্টগ্রামে কালবৈশাখীর তাণ্ডব : সড়কে গাছ পড়ে যান চলাচল ব্যাহত দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে একীভূত হবে না ন্যাশনাল ব্যাংক, নিজেরাই সবল হতে চায় প্রাথমিকে মঙ্গলবার থেকে স্বাভাবিক রুটিনে ক্লাস রাষ্ট্রপতির সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের সাক্ষাৎ ধামরাই ঝড়ে টিনের চালা ভেঙে পড়ে দুই নিরাপত্তারক্ষী নিহত হিলি দিয়ে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি মাঠে কাজ করছিলেন স্বামী, খাবার দিতে গিয়ে বজ্রপাতে গৃহবধূ নিহত

দেশ থেকে চিরতরে দারিদ্র্য উচ্ছেদে আত্মনিয়োগে সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান শেখ হাসিনার

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৬
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ থেকে চিরতরে দারিদ্র উচ্ছেদে আত্মনিয়োগের জন্য দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি আজ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০ তম জাতীয় ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণে এ আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্ব স্ব এলাকায় কতজন দরিদ্র ও গৃহহারা মানুষ আছে, কাদের ঘর নাই, বাড়ি নাই, ঠিকানা নাই, নিঃস্ব, রিক্ত, কারা হতদরিদ্র, বয়োবৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী আপনারা তাদের তালিকা বানান। তারা জীবনে যেন বেঁচে থাকতে পারে তার ব্যবস্থা আমরা করে দেব। তারাও , তারাও আমাদের নাগরিক, তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব রয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন এবং জনগণের কল্যাণ করাই আমাদের দায়িত্ব। আমরা যদি এই কাজ সঠিকভাবে করতে পারি ইনশাল্লাহ আমি বিশ্বাস করি এই বাংলাদেশে কোন দরিদ্র থাকবে না।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষিণ এশিয়া হবে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সেতুবন্ধন। দক্ষিণ এশিয়ায় একটি সেতুবন্ধ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ হবে শান্তিপূর্ণ দেশ। তাই, আমরা দেশের সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপরও গুরুত্ব দিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়কন্ঠে বলেন, বাংলাদেশের মাটি সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গিবাদে ব্যবহার হবে না। এ দেশের ভূখন্ড সন্ত্রাসী কর্মকান্ড এবং প্রতিবেশী দেশের কোনো ক্ষতিতে ব্যবহার করতে দেবো না। সেতুবন্ধনের আর শান্তিপূর্ণ দেশ হবে আমাদের।

উদ্বোধনী অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্ট পেশ করেন।

অনুষ্ঠানে সম্মেলনের অভ্যর্থনা উপকমিটির আহবায়ক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম স্বাগত বক্তৃতা করেন।

সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা, দিপুমনি সম্মেলনে যোগ দেয়া দেশী-বিদেশী অতিথিদের নাম ঘোষণা করেন। ১০টি দেশের ৫৫ জন রাজনীতিবিদ এবং ১৪ দলসহ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

সম্মেলনে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল মান্নান খান শোক প্রস্তাব পাঠ করেন। পরে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

পরে ভারত, রাশিয়া, অষ্ট্রেলিয়া, চীন, ইতালি, নেপাল ও শ্রীলংকানহ বিভিন্ন দেশ থেকে আগত সরকার ও বিরোধী দলের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সম্মেলনে বক্তৃতা প্রদান করেন।

দলের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এবং উপপ্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বটি পরিচালনা করেন।

এর আগে সকালে সংগঠনের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে ২০ তম ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

বিপুল করতালির মধ্যে সকাল ১০ টায় সম্মেলনস্থলে প্রবেশ করেই প্রধানমন্ত্রী মঞ্চের ডানপাশে জাতীয় পতাকার স্ট্যান্ডের সামনে দাঁড়িয়ে যান। পাশেই আওয়ামী লীগের দলীয় পতাকার সামনে সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামসহ ৭৩টি পতাকা স্ট্যান্ডের পাশে সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা অবস্থান নেন। মঞ্চে লাল-সবুজে সজ্জিত শিল্পীসহ সমগ্র
সম্মেলন স্থলে তখন সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। আর এরমধ্যেই উত্তোলিত হয় জাতীয়, দলীয় এবং সাংগঠনিক জেলার পতাকা।

পরে দলের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও সংস্কৃতি বিষযক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের পরিচালনায় ‘আলোর পথে যাত্রা’ শীর্ষক সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে ১৯৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা মুক্ত দারিদ্রমুক্ত একটি দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চান উল্লেখ করে দলীয় নেতা-কর্মী, কাউন্সিলর, ডেলিগেটদেরসহ জনগণের সকল নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং সংসদ সদস্য, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন ও উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে ওয়ার্ডের সব নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের প্রতি সহযোগিতার আহবান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে দারিদ্রের হার ৯৭ ভাগ ছিল আমরা ২২ দশমিক ৪ ভাগে নামিয়ে এনেছি। হত দরিদ্রের হার আজকে আমরা ১২ ভাগের নীচে নামিয়ে এনেছি। এই বাংলাদেশে দরিদ্র বলে কিছুই থাকবে না। এটাই হচ্ছে আমাদের অঙ্গীকার।

তিনি বলেন, আমি এটুকু বলতে চাই যে ২০৪১ সালে আমরা কেমন বাংলাদেশ দেখতে চাই-যেখানে আমাদের আজকের ৭ ভাগ প্রবৃদ্ধি থেকে আমরা প্রবৃদ্ধি ৮ থেকে ১০ ভাগে উন্নীত করব।

মাথাপিছূ আয় ১ হাজার ৪৬৬ ডলার থেকে এমন পর্যায়ে উন্নীত করব, দেশে আর কোন দরিদ্র থাকবে না। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দারিদ্রের হার শূন্যের কোঠায় নামাবো এবং শোষণমুক্ত এক সমাজ আমরা গঠন করব। বাংলাদেশ দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ হবে। প্রতিটি মানুষ বিজ্ঞান, তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হবে। পুষ্টিহীনতা দেশ থেকে দূর করে আগামীতে যেই শিশুটি জন্মাবে সেই শিশুটিও একটি পুষ্টিকর জীবন পাবে।’

প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সম্মেলন মূলতবি করা হয়।

বাংলা৭১নিউজ/এম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com