চলমান কোটা আন্দোলনের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, দেশে মেধার কোনো দাম নেই। দুর্নীতির মধ্যে দিয়ে, লবিংয়ের মধ্য দিয়ে শিক্ষাব্যবস্থার ধ্বংস করে শিক্ষার্থীদের জীবন অনিশ্চিত করে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আজ নানা দিক থেকে আওয়াজ উঠছে। কোটা সংস্কারের আন্দোলন হচ্ছে। তাদের কোনো রাজনৈতিক দল আন্দোলন করতে বলেনি। তাদের বিবেক থেকে আন্দোলন করছে। কোটা সংস্কারে শিক্ষার্থীরা বলছে এ সরকারের ওপর তাদের কোনো আস্থা নেই। শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের উদ্যোগে ‘ভারতের সঙ্গে অসম চুক্তি-বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ওপর হুমকি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, দেশে আজ ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সবচেয়ে বড় ভয়াবহ হচ্ছে দেশের স্বাধীনতা হুমকির মুখে। আমার এক অনিশ্চয়তার দিকে ছুটে চলছি। দেশের মানুষ ধুঁকে ধুঁকে মরছে।
সেলিমা রহমান বলেন, জনযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছে। ছাত্র-শ্রমিক, নারী-পুরুষ সেই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। সমস্ত দেশ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, শুধু কিছু রাজাকার ছাড়া। দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫২ বছর। আমাদের যে চাওয়া ছিল, আমাদের যে পাওয়া ছিল তা আমরা পায়নি।
বাংলাদেশের ন্যায়ভিত্তিক শাসন ব্যবস্থা, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার, কথা বলার অধিকার, মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার অধিকার, এ মুহূর্তে ভোট চোর সরকার তা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। সাধারণ মানুষ কথা বলতে পারছে না।
বিএনপির এ নেত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের কথা বলে, বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করিয়েছে সরকার। এক এগারো থেকে ষড়যন্ত্র চলছে। তখন বলেছিল মাইনাস টু। কিন্তু না, সে সময় তারা প্লান করেছে মাইনাস ওয়ানের। খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে বাংলাদেশ আজ স্বাধীনতা নিয়ে, গণতন্ত্র নিয়ে মাথা উঁচু করে থাকত।
বাংলাদেশ ইউথ ফোরামের উপদেষ্টা রোটারিয়ান এম নাজমুল হাসানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন, বিলকিস ইসলাম, হেলাল উদ্দিন ও ইউসুফ আলী প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ