বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো চালু হলো ‘সপ্তাহে একবার’ মুখে খাওয়ার ডায়াবেটিসের ওষুধ মার্জেভ।
রোববার (২০ আগস্ট) রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে নতুন ওষুধের প্রায়োগিক কার্যক্রমের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক একে আজাদ খান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারডেম একাডেমির পরিচালক অধ্যাপক ফারুক পাঠান এবং বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক এসএম আশরাফুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সহযোগী অধ্যাপক ফারিয়া আফসানা। ডক্টর ফারিয়া তার উপস্থাপনায় রোগীদের ডায়াবেটিস চিকিৎসার সাথে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত রাখতে ওষুধটি জরুরি অবদান রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
ওষুধটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এসিআই ফার্মাসিউটিক্যালস কর্তৃপক্ষ বলছে, কম খরচে ও সহজে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও রোগীর জীবনের মানোন্নয়নের জন্য তাদের এই ওষুধ যুগান্তকারী অবদান রাখবে।
প্রসঙ্গত, মার্জেভ প্রাপ্তবয়স্ক রোগীদের টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসায় নির্দেশিত। ওমারিগ্লিপটিন একটি ডাইপেপটিডাইল পেপটাইডেস-৪ (ডিপিপি-৪) এনজাইম এর বিরুদ্ধে একটি দীর্ঘ সময় কার্যকরি প্রতিরোধক। ডিপিপি-৪ দ্রুত ইনক্রিটিন হরমোনের কার্যকারিতা বিনষ্ট করে ফেলে।
অন্যদিকে ইনক্রিটিনসমূহ খাদ্যগ্রহণের প্রতিক্রিয়া হিসাবে একটি গ্লুকোজ-নির্ভর পদ্ধতিতে ইনসুলিন নিঃসরণ বাড়িয়ে এবং গ্লুকাগনের লেভেল কমিয়ে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা হ্রাস করে। এভাবে, ওমারিস্লিপটিন এর কার্যপ্রণালী ইনক্রিটিন হরমোনের কার্যকারিতাকে বৃদ্ধি করে।
যাদের ওমারিগ্লিপটিন বা এই ওষুধের অন্যান্য উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এটি প্রতিনির্দেশিত। এছাড়া এটি টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগীদের গুরুতর কিটোসিস, ডায়াবেটিক কোমা বা প্রিকোমাতেও প্রতিনির্দেশিত। ওমারিগ্লিপটিন গুরুতর সংক্রমণ যেখানে ইনসুলিন ইনজেকশনের মাধ্যমে গ্লাইসেমিক নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন, অস্ত্রোপচারের আগে ও পরে এবং আঘাতপ্রাপ্ত রোগীদের ক্ষেত্রে প্রতিনির্দেশিত।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ