বাংলাদেশে কৃষি যন্ত্রপাতি সংযোজনের অত্যাধুনিক কারখানা তৈরি করবে ভারতীয় কোম্পানি মাহিন্দ্র। শুধু তাই নয়, প্রতিষ্ঠানটি স্বল্প মূল্যে ও সহজ শর্তে এসব যন্ত্রপাতি কিনতে কৃষকদের আর্থিক সুবিধাও দিতে চায়।
মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ আগ্রহের কথা জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
প্রান্তিক পর্যায়ে যন্ত্রের ব্যবহার জনপ্রিয় ও রক্ষণাবেক্ষণ সহজতর করতে প্রশিক্ষিত জনবল তৈরির ব্যাপারেও উদ্যোগ গ্রহণ করতে একমত হয়েছেন মাহিন্দ্র অ্যান্ড মাহিন্দ্র লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পবন গোয়েঙ্কা।
বৈঠক শেষে কৃষিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে কৃষি শ্রমিকের ঘাটতি দিন দিন বাড়ছে। কৃষকেরা কৃষিকাজ থেকে শিল্পসহ অন্যান্য খাতে চলে যাচ্ছে। ফলে শ্রমিকের দাম অনেক বেশি ও কৃষক কৃষিকাজে লাভবান হচ্ছে না। সেজন্য সরকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। সরকার এ বছর ২শ’ কোটি টাকার মাধ্যমে ৫০-৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষকদের কম্বাইন্ড হারভেস্টার, রিপারসহ কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছে। এছাড়াও ৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে যার মাধ্যমে প্রায় ৫১ হাজার কৃষি যন্ত্রপাতি দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার বছরে প্রায় ১২০ কোটি ডলারের; যা বছরে ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে। এ বিশাল বাজারে ভারতের বিনিয়োগের অনেক সুযোগ রয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, মাহিন্দ্র সংযোজন কারখানা স্থাপনের পাশাপাশি এদেশের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও যারা খুচরা যন্ত্রাংশ তৈরি করছে তাদেরও যন্ত্রাংশ তৈরির দায়িত্ব দিবে; যেন স্থানীয় পর্যায়ে উদ্যোক্তা তৈরি হয়। এছাড়া, কৃষি যন্ত্রপাতির দাম অনেক বেশি হওয়ায় কৃষকেরা অনেক ক্ষেত্রে যন্ত্রপাতি কিনতে পারে না; এটি বিবেচনায় নিয়ে তারা বাংলাদেশের কৃষকদের ঋণ দেওয়ার চিন্তাভাবনাও করছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে যান্ত্রিকীকরণে বিনিয়োগের সম্ভাবনা অনেক। সেজন্য মাহিন্দ্র এখানে বিনিয়োগ করতে চাচ্ছে।
বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আবদুর রৌফ, বিএডিসির চেয়ারম্যান মো. সায়েদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
মাহিন্দ্র অ্যান্ড মাহিন্দ্র লিমিটেডের ফার্ম ইকুইপমেন্ট সেক্টরের (এফইএস) প্রেসিডেন্ট হেমন্ত সিক্কা, এফইএস’র সিইও প্রকাশ ওয়াকানকার, বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড রবিন কুমার দাশসহ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা এ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত ‘কৃষিখাতে ভারত-বাংলাদেশের সহযোগিতা’ বিষয়ক ডিজিটাল কনফারেন্সের অগ্রগতির তুলে ধরতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলা৭১নিউজ/সর