বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক চারটি ধরন পাওয়া গেছে। তবে এর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া ধরনটি বেশি মানুষের দেহে সংক্রমিত হয়েছে।
জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন গণমাধ্যমকে এমনটিই জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘গতকাল রবিবার (৩০ মে) পর্যন্ত ২৬৩টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করে ১৪০টিতে চারটি ধরন পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ২৭টিতে যুক্তরাজ্যের ধরন, ৮৫টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার, ৫টিতে নাইজেরিয়ার এবং ২৩টিতে ভারতীয় ধরন।’
শনাক্ত হওয়া করোনা ভাইরাসের ধরনগুলো হলো-ভারতীয় ধরন (বি.১.৬১৭.২), যুক্তরাজ্যের ধরন (বি.১.১.৭), দক্ষিণ আফ্রিকার ধরন (বি.১.৩৫১) ও নাইজেরিয়ার ধরন (বি.১.৫২৫)।
এদিকে ভারতে উদ্ভূত ধরনটির সংক্রমণ রোধে দেশটির সঙ্গে চলাচল বন্ধ করেছে সরকার।
এ বিষয়ে ডা. তাহমিনা বলেন, ‘ভারত থেকে আগত ব্যক্তি এবং তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের নমুনা পরীক্ষা করে ২৩ জনের দেহে এই ভারতীয় ধরন পাওয়া গেছে।’
তিনি বলেন, ‘যখন রোগ শনাক্ত হবে, রোগ একজন মানুষ থেকে আরেকজন মানুষের শরীরে সংক্রমণ হবে, তখন নতুন নতুন ধরনের আবির্ভাব হবে।’
গত বছরে চীনের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। তখন থেকে সংক্রমিত হওয়া নতুন করোনাভাইরাস রূপ বদল করে চলছে।
রবিবার (৩০ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা ভাইরাস নিয়ে নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৪৪ জন। নতুন করে মারা যাওয়া ৩৪ জনকে নিয়ে দেশে ভাইরাসটিতে মোট মৃতের সংখ্যা ১২ হাজার ৫৮৩ জন। আর দেশে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৭ লাখ ৯৮ হাজার ৮৩০ জন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএফ