তাঁত শিল্পে প্রত্যক্ষ ৯ লাখ ও পরোক্ষভাবে ৬ লাখ মিলে মোট ১৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। বছরে ৪৭ কোটি ৪৭৪ লাখ মিটার কাপড় উৎপাদনের মাধ্যমে তাঁত শিল্প দেশের মোট বস্ত্র চাহিদার প্রায় ২৮ ভাগ পূরণ করে থাকে।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এসব তথ্য জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। তিনি কক্সবাজার বেসিক সেন্টার পরিদর্শনের পরে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বিকেলে মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই অনুষ্ঠানে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার সুইটিসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, তাঁতশিল্প ও তাঁতিদের উন্নয়ন করাই বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য। কোন পরিকল্পনা বা নীতিমালা প্রণয়ন করলে তাঁতিদের জীবনমান উন্নয়ন করা সম্ভব, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সেই ধরনের নীতিমালা প্রণয়ন করবে। তাঁতিদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও মূলধন যোগানের কষ্ট দূর করার জন্য সরকার কাজ করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তাঁতিদের চলতি মূলধনের চাহিদা মিটাতে ‘তাঁতিদের জন্য ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত (ডিসেম্বর, ২০২০) ৪৬ হাজার ৬৪৫ জন প্রান্তিক তাঁতিকে ৯ হাজার ৬৮৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া পদ্মা সেতু সংলগ্ন মাদারীপুরের শিবচর ও শরীয়তপুরের জাজিরায় নির্মিত হচ্ছে শেখ হাসিনা তাঁত পল্লী। সরকারের পক্ষ থেকে তাঁতিদের সুতা রঙসহ বিভিন্ন কাঁচামালের সুবিধা দেয়া হবে। নির্মিত হবে আন্তর্জাতিক মানের প্রদর্শনী ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
দেশে বিদ্যমান ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২টি তাঁত ইউনিটে মোট হস্তচালিত তাঁতের সংখ্যা ৫ লাখ ৫ হাজার ৫৫৬টি। এর মধ্যে চালু তাঁতের সংখ্যা ৩ লাখ ১১ হাজার ৮৫১টি।
বাংলা৭১নিউজ/এমকে