বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: কাল উদ্বোধন হচ্ছে দেশের প্রথম ৮ লেনের মহাসড়ক। যাত্রাবাড়ী থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত নির্মিত সড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে ৭ কিলোমিটার। ৮ লেনের এ মহাসড়কটি ঢাকা-চট্টগ্রাম ৪ লেনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় এটি দেশের অর্থনীতিতে সরাসরি অবদান রাখবে বলে আশাবাদ সংশ্লিষ্টদের।
যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সড়কটির পূর্ণ সুফল পেতে রাস্তার দু’ধারের অবৈধ পার্কিং ও দোকানপাট উচ্ছেদের পাশাপাশি বিভিন্ন মোড়ে উড়াল পথ বা ওভারপাস নির্মাণ করতে হবে।
সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলসহ ঢাকার সঙ্গে ১৮ জেলার প্রবেশদ্বার; কাঁচপুর-যাত্রাবাড়ী মহাসড়ক। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি ৮ লেনে উন্নীতের কাজ শেষ। প্রয়োজনের তাগিদে নির্মাণ কাজ চলার পাশাপাশি এটি ব্যবহৃত হচ্ছে শুরু থেকেই।
অর্থনীতির লাইফ লাইন বলা হয় যে ঢাকা-চট্টগ্রাম ৪ লেনকে; তার সাথে সমানতালে অবদান রাখবে এই নবনির্মিত ৮ লেন, এমন কথা কোনো পরিসংখ্যান না করেও বলাই যায়। কিন্তু ৮ লেনের পরও যাত্রাবাড়ী থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত বিভিন্ন মোড়ে এখনই পোহাতে হয় দীর্ঘ যানজট।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৪, ৬ বা ৮ লেনের যেকোনো রাস্তাই উপকারী, তবে সেই উপকার শতভাগ পেতে মোড়গুলোকে যানজট মুক্ত রাখতে হবে। আর সে কারণে কাঁচপুর বা সাইনবোর্ডের মতো মোড়ে ওভারপাস বা ইন্টারচেইঞ্জ করা না গেলে হয়ত এই ৮ লেনের মূল উদ্দেশ্যই ব্যাহত হবে।
সড়কটির নানা স্থানে এখনই বসেছে অবৈধ পার্কিং। শনিবারের উদ্বোধনকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার এসব পার্কিং ও অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়। কর্তৃপক্ষের আশা, সড়কটি দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখবে।
২০১১ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পটি শেষ হবার কথা ছিলো ২০১৩ সালে। কিন্তু কয়েক দফা মেয়াদ ও ব্যয় বেড়ে এটির সব শেষ ব্যয় দাঁড়ায় ১৩২ কোটি টাকা। প্রকল্পের অংশ হিসেবে তৈরি হয়েছে ৪টি পায়ে হাঁটা উড়াল পথ।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইস