বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
অন্তর্বর্তী সরকারের উদারতা জাতিকে অনন্তকাল ভোগাবে : হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও দেশকে অস্থির করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে ভেতরে প্রবেশ করছেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা লামায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ড. ইউনূসের নিন্দা আগুনের সূত্রপাত কীভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি : ফায়ারের ডিজি সচিবালয়ের আগুন ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সড়কে পড়ে আছে ফায়ারকর্মী নয়নের হেলমেট ও তাজা রক্ত সচিবালয়ে আগুন: যে হুঁশিয়ারি দিলেন আসিফ মাহমুদ আগুন ৬ তলায় লেগে উপরে গেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সবাই একসঙ্গে শান্তিতে থাকতে চাই : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে থেকে পড়ে বিদ্যুতায়িত, দুই শ্রমিকের মৃত্যু ‘আমাদের একমাত্র লক্ষ্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা’ বাংলাদেশ সীমান্তে অতিরিক্ত বিএসএফ মোতায়েন সৌদিতে সড়কে প্রাণ গেল ময়মনসিংহের দুই যুবকের, পরিবারে শোকের মাতম বিএনপিকর্মী মকবুল হত্যা: সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর কারাগারে প্রশাসন নিরপেক্ষ করতে ‘স্বৈরাচারের দোসরদের’ অপসারণ করুন সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউল্লাহ শফিকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা বইমেলায় স্টলের জন্য আবেদন করা যাবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদকের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা

‘দেশের ক্রান্তিলগ্নে বিচার বিভাগ কখনো পিছপা হয়নি’

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় সোমবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৬
  • ১০৯ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন,দেশের ক্রান্তিলগ্নে বিচার বিভাগ কখনো পিছপা হয়নি।যখনই কোনো অন্যায় দেখেছে বিচার বিভাগ সেখানেই হস্তক্ষেপ করেছে।

সোমবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করে প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, কতিপয় বিপথগামী সেনা সদস্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে এই দিনে নির্মমভাবে হত্যা করে। কিন্তু তৎকালীন সরকার হত্যাকারীদের বিচারের পথ বন্ধ করে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি ও খুনিদের পুরস্কৃত করে।

তিনি বলেন, দেশের বিচার বিভাগ এই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে বিচারের পথ প্রশস্ত করে। শুধু বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলাই নয়, জেল হত্যা মামলার জন্য সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী, অষ্টম সংশোধনী এবং ত্রয়োদশ সংশোধনী সুপ্রিম কোর্ট বাতিল ঘোষণা করে। সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া এসব রায়ই প্রমাণ করে, বিচার বিভাগ দেশের ক্রান্তিলগ্নে কখনই পিছপা হয়নি। যখনই কোনো অন্যায় দেখেছে সেখানেই হস্তক্ষেপ করেছে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের মধ্যে বিচার বিভাগকে যথাযথ মর্যাদা ও স্বীকৃতি দিতে অনেকেই পিছপা হতেন। নির্বাহী বিভাগ ও জাতীয় সংসদের পাশাপাশি বিচার বিভাগও যে রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সেটি প্রকাশ করা আমাদের (বিচারপতিদের) কর্তব্য।’

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর দেশের অধিকাংশ লোকই এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করার নৈতিক সাহস হারিয়ে ফেলেছিল। দেশবাসী কল্পনাও করতে পারেনি, যে বঙ্গবন্ধুকে এভাবে হত্যা করা হবে।

সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, ‘সিনিয়র বিচারপতিরা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করায় বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ সুগম হয়েছিল। একজন জেলা জজ রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নিম্ন আদালতে এই মামলার রায় দিয়েছিলেন। এরপর হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স নিষ্পত্তি করতে নানা প্রতিকূলতা ছিল। মামলাটি কার্যতালিকায় আনা ও বেঞ্চ গঠন নিয়ে নানা নাটকীয় ঘটনা ঘটে।

এ ধরনের একটি ঘটনা নিয়ে বিচারকরা জাজেজ লাউঞ্জে কনফাইন্ড (বন্দি) ছিলেন। এরপর হাইকোর্ট ডেথ রেফারেন্স নিষ্পত্তি করে এবং মামলাটি আপিল বিভাগে আসে। এরপর আপিল বিভাগ মামলাটি চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করেন। আপিল বিভাগের ওই বেঞ্চের একজন বিচারক হিসেবে এই মামলায় অংশ নিতে পেরে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি।’

অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম, আপিল বিভাগের রেজিস্টার জাকির হোসেন, হাইকোর্টের রেজিস্টার সৈয়দ আবু দিলজার হোসেন, অতিরিক্ত রেজিস্টার (প্রশাসন ও বিচার) সাব্বির ফয়েজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলা৭১নিউজ/আরএম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com