সব শ্রেণির গ্রাহকদের প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। রাজধানীতে এরই মধ্যে ৩ লাখ ২০ হাজার আবাসিক গ্রাহককে মিটারের আওতায় আনা হয়েছে। জাপান থেকে ওই ৩ লাখ ২০ হাজার মিটার আনতে খরচ হয়েছে ৭৫৩ কোটি টাকা। এবার মিটার আমদানির খরচ কমাতে প্রথমবারের মতো দেশেই মিটার তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এ কাজে সহায়তা করছে জাপান।
জানা গেছে, জাপানের দুটি মিটার কোম্পানি ও বাংলাদেশ যৌথভাবে সমান মালিকানায় কাজ করবে মিটার উৎপাদনে। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় জাপানের অর্থায়নে এজন্য কারখানা নির্মাণ হবে।
তবে কবে নাগাদ কাজ শুরু হবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেননি তিতাস কর্মকর্তারা।
তিতাসের এক কর্মকর্তা বলেন, এটা তো উপরের কাজ। অনেক বড় কাজ। আমরা শুধু নির্দেশনা আসলেই বাস্তবায়ন করব। তবে এখন পর্যন্ত আলোচনার মধ্যেই আছে। এর চাইতে বেশি কিছু আমরা বলতে পারবো না।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশিদ মোল্লা জানান, যেহেতু আমাদের গ্রাহকদের মিটারের আওতায় আনার পরিকল্পনা সরকার হাতে নিয়েছে এবং বাস্তবায়নের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, এক্ষেত্রে আমদানির চাইতে উৎপাদন সাশ্রয়ী হবে।
এজন্যই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রচুর মিটারের প্রয়োজন পড়বে। সেক্ষেত্রে জাপান সরকার যেহেতু আগ্রহী হয়েছে, আমরা কাজ করতেই পারি। এটা ভালো হবে। তবে এখন পর্যন্ত এটার আলোচনা সরকারের পর্যায়েই আছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম