সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০২:৫২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
টস জিতে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো বাংলাদেশ ছয় মাসে রাজস্ব আহরণ বেড়েছে ১৩.৯ শতাংশ: অর্থমন্ত্রী সোনার দাম আরও বাড়লো ব্যর্থতা ঝেড়ে বিশ্বকাপ রঙিন করার প্রত্যাশা জ্যোতির পালিয়ে বাংলাদেশে এলেন আরও ৮৮ বিজিপি সদস্য এবি ব্যাংক পিএলসি যশোরে স্মার্ট কার্ডে নারী উদ্যোক্তা ঋণ স্মরণে বঙ্গবন্ধু ঢাকায় আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপে তীব্র তাপপ্রবাহের পর হবিগঞ্জে ঝড়-শিলাবৃষ্টি গুচ্ছের বি ইউনিটের ফল প্রকাশ তাপপ্রবাহ এবারই শেষ নয়, প্রস্তুতি শুরুর পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হাওরের প্রায় শতভাগ বোরো ধান কাটা শেষ ২৪ ঘণ্টায়ও নেভেনি সুন্দরবনের আগুন, সময় লাগবে ২-৩ দিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ সরকারি সফরে অস্ট্রেলিয়া গেলেন বিমান বাহিনী প্রধান সরকার তৃণমূল মানুষের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে : প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকের উপর হামলা, প্রতিবাদে ক্র্যাবের মানববন্ধন উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করুন: রিজভী গ্যাস পাচ্ছেন গোপালগঞ্জবাসী অপারেশনের নামে হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেতেন মিল্টন সমাদ্দার আশ্রমকাণ্ডে দায় এড়াতে পারেন না মিল্টনের স্ত্রী

দেবে যাচ্ছে সেন্টমার্টিন!

কক্সবাজার প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৪৮ বার পড়া হয়েছে

অপরিকল্পিত উন্নয়ন আর ব্যাঙের ছাতার মতো যত্রতত্র গড়ে ওঠা স্থাপনা গিলে খাচ্ছে দেশের একমাত্র প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্টমার্টিনকে। স্বচ্ছ পানি ও চারপাশজুড়ে প্রবাল পাথরবেষ্টিত নারিকেল জিঞ্জিরায় অনিয়ন্ত্রিত পর্যটকদের যাতায়াত, তাদের অসচেতনতা, অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ ও পরিবেশ দূষণের কারণে সেখানকার প্রতিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন সচেতন মহল। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেন্টমার্টিনে যেকোনো ধরণের স্থাপনা গড়ে তোলার ব্যাপারে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা অমান্য করে গড়ে উঠছে একের পর এক রিসোর্ট, হোটেল, মোটেল ও রেস্টুরেন্ট। এসব অব্যবস্থাপনার কারণে দ্বীপটির পরিবেশ ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। এতে ধ্বংস হচ্ছে দ্বীপের শৈবাল-প্রবাল, ঝিনুক, শামুক, সামুদ্রিক কাছিম, লাল কাঁকড়াসহ নানা ধরণের জলজ প্রাণী।’

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) বলছে, সেন্টমার্টিনে অপরিকল্পিত স্থাপনা বন্ধে সরকারিভাবে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কোনো অব্যবস্থাপনামূলক স্থাপনা যেন দ্বীপে না হতে পারে সে ব্যাপারে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে গেজেটও তৈরি করা হয়েছে।

কউক চেয়ারম্যান কমডোর মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলেন, ‘গবেষণা করে দেখা যায়, এখন পর্যন্ত সেন্টমার্টিন দ্বীপে যথেষ্ট অপরিকল্পিত স্থাপনা তৈরি হয়েছে। যার কারণে দ্বীপটি আস্তে আস্তে মাটির নিচে দেবে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে আর এ ধরনের কোনো স্থাপনা করতে না দেওয়ার জন্য পরিবেশ মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও কউকের সমন্বয়ে আমরা একটি গেজেট বের করেছি।’ 

তিনি বলেন, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও বাণিজ্যিক কার্যক্রমের জন্য সেন্টমার্টিনে কোনো ধরনের স্থাপনা করবে না। সেন্টমার্টিনের জন্য আমরা একটা মাস্টারপ্ল্যান (মহাপরিকল্পনা) করেছি। ইকো সিস্টেমে সেখানে কীভাবে স্থাপনা করা যায় তা নিয়ে চিন্তা করছি এবং কীভাবে পর্যটকদের জন্য ভালো বিনোদনের ব্যবস্থা করা যায় ও  টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে দ্বীপকে সাজানো যায় তা নিয়েও আমরা পরিকল্পনা করছি।’

কউক চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘মালদ্বীপের রিসোর্ট চেইনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাদের কাছ থেকে প্রযুক্তিগত পরামর্শ নিয়ে আমরা এসব কর্মযজ্ঞ শুরু করবো।’

কমডোর মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলেন, ‘সেন্টমার্টিনে বেসামালভাবে পর্যটক গেলে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যদি পর্যটকের আধিক্য সেন্টমার্টিনকে ময়লাযুক্ত ও দূষিত করে তবে কয়েকবছর পর দেখা যাবে সেন্টমার্টিনের সৌন্দর্য হারিয়ে গেছে। এ ছাড়াও সামুদ্রিক কাছিমগুলো ডিম পাড়ার জন্য নিরাপদ জায়গা চায়। যেখানে মানুষের সমাগম নেই সেখানে কাছিমগুলো ডিম পাড়ে। কিন্তু পর্যটকদের অবাধ আনাগোনার কারণে কাছিমগুলো ডিম দিতে পারে না। ঠিক একইভাবে অন্যান্য জলজ, স্থল এবং জীববৈচিত্র্যের জন্যেও ক্ষতি হবে। কাজেই সেন্টমার্টিনে ট্যুরিজম ব্যবস্থাকে সহনীয় পর্যায়ে আনতে হবে। এ ব্যাপারে কাজ চলছে।’

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সেন্টমার্টিনে ৬৮ প্রজাতির প্রবাল, ১৫১ প্রজাতির শৈবাল, ১৯১ প্রজাতির মোলাস্কা বা কড়িজাতীয় প্রাণী, ৪০ প্রজাতির কাঁকড়া, ২৩৪ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, ৫ প্রজাতির ডলফিন, ৪ প্রজাতির উভচর প্রাণী, ২৮ প্রজাতির সরীসৃপ প্রাণী, ১২০ প্রজাতির পাখি, ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ১৭৫ প্রজাতির উদ্ভিদ, ২ প্রজাতির বাদুড়সহ নানা প্রজাতির প্রাণীর বসবাস ছিলো। এসব প্রাণীর অনেকগুলোই এখন বিলুপ্ত বা বিলুপ্তির পথে। জলবায়ু পরিবর্তন ও দূষণের কারণে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে এ জীববৈচিত্র্য। 

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com