বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মের এক দেবীর নামে ‘কটূক্তি ও অশালীন’ মন্তব্য করার অভিযোগে সাংবাদিক ও শিক্ষক আনিস আলমগীরের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রাজধানী ঢাকায় বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২২শে জানুয়ারি দেবী সরস্বতী সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘অশালীন মন্তব্য’ করেন মি. আলমগীর। এর মাধ্যমে হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া হয়েছে বলে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে বহু মামলা করা হলেও হিন্দুদের অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে মামলা দায়ের করার ঘটনা খুব একটা শোনা যায় না।
আনিস আলমগীরের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী সুশান্ত কুমার বসু। তিনি বলেছেন, সংক্ষুব্ধ হয়ে তিনি থানায় মামলা করতে গিয়েছিলেন কিন্তু পুলিশ মামলাটি গ্রহণ করতে রাজি না হওয়ায় তিনি সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে এই মামলাটি দায়ের করেছেন।
তিনি বলেন, “হিন্দু ধর্মে বিদ্যার দেবী সরস্বতী সম্পর্কে কটূক্তি করার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়া হয়েছে এবং রাষ্ট্রের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে।”
ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামলাটিকে আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ারী থানার পুলিশকে বাদীর অভিযোগ তদন্ত করে দেখার আদেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামী আনিস আলমগীর বলেছেন, “দেবী সরস্বতীর সৌন্দর্যের প্রশংসা করে আমি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। তাতেও যারা আহত হয়েছেন আমি তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছি।”
“এই ঘটনার পর আমি আমার ভুলের কথা স্বীকার করে তিন তিনবার দুঃখ প্রকাশ করেছি। সারা জীবন আমি মানবতার পক্ষে ও সাম্প্রদায়িকতার বিপক্ষে জীবন বাজি রেখে কাজ করেছি। তারপরেও আমার একটি ভুলকে ইস্যু বানিয়ে মামলা করা হয়েছে,” বলেন মি. আলমগীর।
ফেসবুকে মি. আলমগীরের স্ট্যাটাসের পর এনিয়ে বিতর্ক শুরু হলে তিনি স্ট্যাটাসটি ফেসবুক থেকে মুছে দেন এবং পরে তার ব্যাখ্যা দিয়ে আরো দুটো স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
আনিস আলমগীর বলেছেন, “মামলা যখন হয়েছে তখন আর কি করা। আদালতের কাছে আমি আমার বক্তব্য তুলে ধরবো।” সূত্র:বিবিসি বাংলা।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস