শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:০৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
তামিমের অবসর : যা বলছেন মুশফিক-রিয়াদ-শান্তরা মেঘনায় দুই স্পিডবোটের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ৩ এ কে আজাদ শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হবিগঞ্জে বাস চাপায় তিন নারী শ্রমিক নিহত ‘গণমানুষের ক্যান্সার হাসপাতাল’ তৈরিতে তহবিল সংগ্রহ শুরু যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি চুক্তি বাস্তবায়নে ‘কাছাকাছি অবস্থানে’ হামাস-ইসরাইল বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পলাতক আ.লীগ নেতা আনোয়ারুজ্জামানের সাক্ষাৎ আ.লীগের নিবন্ধন থাকবে কিনা ‘সময় বলে দেবে’: সিইসি ক্যাম্প থেকে পালিয়ে আসা ৭ রোহিঙ্গা ফেনীতে আটক কিছুটা নিয়ন্ত্রণে পাঁচদিন ধরে চলা লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানল পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে বাজার তদারকি করছে ৫ টিম সুশাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ায় টাকা পাচার বন্ধ হয়েছে : গভর্নর হামলাকারীদের কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে দুটি নতুন ট্রেন লোহিত সাগরে হুথিদের হামলায় পিছু হটলো মার্কিন যুদ্ধজাহাজ অন্তর্বর্তীকালীন দা‌য়িত্ব পালনে ঢাকায় ট্র্যাসি জ্যাকবসন শ্রম আইনে পরিচালনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের দু’পক্ষের হাতাহাতি পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে মায়ের জন্য বাসায় রান্না করা খাবার নিয়ে গেলেন তারেক রহমান

দেনমোহরসহ তালাক চাওয়ায় স্ত্রীকে খুন

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পাঁচ দিনের মধ্যে চাঞ্চল্যকর ও ক্লু-লেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় জড়িত ঘাতক স্বামী ওয়াসীমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) টাঙ্গাইল পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার সিরাজ আল মাসুদ প্রেসবিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, মির্জাপুর উপজেলার আজগনা ইউনিয়নের ঘাগড়া এলাকার একটি কলাবাগানে গত ১৭ ডিসেম্বর অজ্ঞাত এক নারীর অর্ধগলিত মরদেহ পাওয়া যায়। পরে পিবিআই এই হত্যা মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তি ও বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকারী নিহতের স্বামী মো. ওয়াসীমকে শনাক্ত এবং তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

গ্রেফতার ওয়াসীম দিনাজপুর জেলার খানসামা থানার ডাঙ্গারপাড়া এলাকার ইছাহাকের ছেলে।

পুলিশকে ওয়াসীম জানান, ২০১৯ সালে মোহাম্মদপুর ঢাকা উদ্যানের পাশে একটি ইটভাটায় কাজ করার সময় নাজমা বেগমের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তিনি ভোলা জেলার লালমহন থানার দেবীর চর বেড়িবাঁধ হাওলাদার বাড়ি এলাকার আব্দুর রহমানের মেয়ে। ইটভাটায় কাজ করার সময় নাজমার সঙ্গে ওয়াসীমের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। পরে ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে ইটভাটার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তখন ওয়াসীম নিজ এলাকা দিনাজপুরে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

একথা শুনে নাজমা ওয়াসীমকে ঢাকা উদ্যানে দেখা করার কথা বলেন। পরে নাজমার ভাড়া করা বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তার লোকজন জোরপূর্বক ওয়াসীমের সঙ্গে নাজমার বিয়ে পড়ান এবং তিন লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করেন।

পরবর্তীতে চলতি বছরের ১১ ডিসেম্বর মির্জাপুর ইটভাটায় নাজমা বেগম ওয়াসীমের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। সেখানে দুজনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে নাজমা দেনমোহরের তিন লাখ টাকা ও ডিভোর্স চান, তা না হলে মামলা করার ভয় দেখান। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে আবারও ঝগড়া হয়।

পরে ইটভাটার পাশে কলাবাগানে ওয়াসিম নাজমার গলায় থাকা ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন এবং মরদেহ গুম করার জন্য কলাবাগানের ভেতর মাটিচাপা দিয়ে পালিয়ে যান।

১৭ ডিসেম্বর নাজমা বেগমের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিনই নাজমা বেগমের বড় ভাই হোসেন ওরফে জুয়েল বাদী হয়ে ওয়াসীমকে আসামি করে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে দিনাজপুরের খানসামা মুন্সিপাড়া থেকে ওয়াসিমকে মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে গ্রেফতার করা হয়।

বাংলা৭১নিউজ/বিএফ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com